কয়লা চুরির মামলায় বড়পুকুরিয়ার সাবেক এমডিসহ ৩ কর্মকর্তা জেলে

কয়লা চুরির মামলায় বড়পুকুরিয়ার সাবেক এমডিসহ ৩ কর্মকর্তা জেলে

ছবি:সংগৃহিত

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় কয়লা চুরির ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় সাবেক এক এমডিসহ ৩ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আজ বুধবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমদ ভূঞা এ আদেশ দেন। ২৩ আসামির  মধ্যে ২০ জনের জামিন মঞ্জুর করলেও সাবেক এমডি প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ, উপ-মহাব্যবস্থাপক এ কে এম খাদেমুল ইসলাম, মহা-ব্যবস্থাপক আবু তাহের মোহাম্মদ নুরুজ্জামান চৌধুরীর জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭.৯৯ মেট্রিক টন কয়লা (যার আনুমানিক মুল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ৮২ হাজার পাঁচশত এক টাকা চুরাশি পয়সা) আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করে দুদক।

গত ২০০৬ সালের জানুয়ারী মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯শে জুলাই পর্যন্ত ১৪৩৭২৭.৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে। এই ঘটনায় বড় পুকুরিয়া কল মাননিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান বাদি হয়ে ২০১৮ সালের ২৪শে জুলাই পার্বতীপুর থানায় ১টি মামলা করেন। মামলাটি পরবর্তীতে দুদকের কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে মামলাটি দুদকের উপ-পরিচালক সামসুল আলম তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তদন্ত করেন।

গত ২৪ জুলাই মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে প্রদান করা হয়। আসামিরা দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়। এই অভিযোগপত্রে এজাহার নামীয় ছাড়াও ৯ জনকে যুক্ত করা হয় এবং তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকায় ৫ জনকে আসামি থেকে বাদ দেয়ার কথা বলা হয়।

দুদক তদন্ত শেষে ১ বছর পর গত ২৪শে জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সেই থেকে অভিযুক্তরা আদালতে হাজির হয়নি। এরই ফলে গতকাল মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আজ বুধবার আসামিরা জামিনের জন্য আবেদন করলে ২০ জনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভূঞা।