ভোলার ঘটনায় বুধবার বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচী

ভোলার ঘটনায় বুধবার বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচী

ছবি:সংগৃহিত

ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ ও মুসল্লীদের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। মুহাম্মদ (সঃ)কে কটূক্তি করে দেওয়া একটি ফেসবুক ম্যাসেজকে কেন্দ্র করে মুসল্লী ও পুলিশের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আগামী বুধবার (২৩ অক্টোবর) সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

মোশাররফ বলেন, ভোলার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিএনপির উদ্যোগে আগামী ২৩ অক্টোবর বুধবার ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় এবং সারা দেশের জেলা ও মহানগরীতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে। মোশাররফ বলেন, আমি ভোলার সাধারণ মানুষের উপর পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

তিনি বলেন, এই দেশ অনাদি কাল হতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনুপম নিদর্শন হয়ে আছে। এখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের শান্তিপূর্ণ বসবাস। কোনো ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করা বা কারো ধর্মবিশ্বাসকে অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য করায় দেশের আবহমানকালের ঐতিহ্যে নেই। আমরা মনে করি ভোলার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। যে কারণে ভুলাকে রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে তার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিতে হবে।

ভোলার ঘটনায় নিহতদের রুহের মাগফিরাত এবং যারা আহত হয়েছে তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে মোশাররফ বলেন, মহান আল্লাহ ও মহানবী সাল্লাল্লাহু ইসলামকে কটূক্তির প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও ভয়াবহ পৈশাচিকতায় চারজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে। এই প্রতিবাদী মানুষের উপর পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে রক্তাক্ত হয় ভোলা। যে কোনো ধর্ম সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করলে মানুষের বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে নতুন কিছু নয় এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা আশ্চর্যের সঙ্গে লক্ষ্য করছি স্থানীয় প্রশাসন সুকৌশলে ভোলায় মানুষের প্রতিবাদটিকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার ঘৃণ্য চক্রান্ত চালাচ্ছে। ভোলা হত্যাকাণ্ডের পর সরকার ও প্রশাসনের বক্তব্য এবং মন্তব্য শুনলে অনুধাবন করতে পারবেন তারা দুঃখ প্রকাশ না করে হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাইছে আর প্রধানমন্ত্রী তার স্বভাবসুলভ ভাষায় প্রতিবাদকারীদের প্রতি হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।