বিড়ি শ্রমিক নেতাদের সভায় প্রাক বাজেট আলোচনার প্রতিবাদ

বিড়ি শ্রমিক নেতাদের সভায় প্রাক বাজেট আলোচনার প্রতিবাদ

ছবি সংগৃহিত।


এনবিআরের প্রাক বাজেট আলোচনায় সিগারেটের দাম নামমাত্র মূল্য বৃদ্ধি করে বিড়ির উপর তিনগুণ মূল্য বাড়িয়ে ৩৫ টাকা করার প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার রাজধানী গুলিস্তানে আয়োজিত শ্রমিক নেতাদের এক সভায় এ প্রতিবাদ জানানো হয়। এসময় বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করে ২৫লক্ষাধিক মানুষের বেকার করার ষড়যন্ত্র বন্ধ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এম.কে বাঙ্গালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সহ-সভাপতি মোঃ নাজিম উদ্দিন, মোঃ নজরুল ইসলাম, আব্দুল বারিক, যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ হারিক হোসেন, মোঃ লুৎফর রহমান, মোঃ শামীম ইসলাম, শ্রী প্রণব দেব নাথ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল গফুর,  সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ হাওলাদার, প্রচার সম্পাদক মোঃ আসলাম মিঞা, শিক্ষা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সদস্য জামিল আক্তার, মোজাফ্ফর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সংগঠনের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শতাধিক বিড়ি শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুর রহমান বলেন,“কতিপয় অসাধু এনবিআর কর্মকর্তা, অর্থমন্ত্রনালয়ের কিছু আমলা ও ব্রিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দালালদের যোগসাজসে বিড়ি শিল্প ধ্বংস করতে বিড়ির মূল্য তিনগুণ বৃদ্ধি করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সিগারেটকে একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ করা হচ্ছে। বিড়ি শিল্প ধ্বংস হলে আমরা ২৫ লাখ শ্রমিক না খেয়ে মরব। তাই বিড়ি শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র বন্ধ না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে ধাবিত হব। বিড়ি শিল্পের উপর কর তুলে নিয়ে ভারতের ন্যায় বিড়িকে কুঠির শিল্প ঘোষণার দাবি জানান তিনি।” 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “গত ৭ এপ্রিল রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে  প্রাক বাজেট আলোচনায় ২৫ শলাকা বিড়ির দাম ১২.৫০টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। এসময় সিগারেটকে দুটি স্তরে ভাগ করে ৩৫টাকা ও ৪৮টাকা মূল্যের নি¤œস্তরের ১০ শলাকা সিগারেট ৫০টাকা নির্ধারণ এবং ৭৫টাকা ও ১০৫ টাকা মূল্যের উচ্চস্তরের ১০ শলাকা সিগারেট ১০৫টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়। এতে প্রতি প্র্যাকেট বিড়িতে ২২.৫০ টাকা বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে নি¤œস্তরের সিগারেট প্রতি প্যাকেট মাত্র ৮.৫০ টাকা ও উচ্চস্তরের সিগারেট ১৫ টাকা বৃদ্ধি পাবে। প্রস্তাব অনুযায়ী সিগারেটের উপর নামমাত্র মূল্য বৃদ্ধি করে বিড়ির উপর তিনগুণ দাম বৃদ্ধির ষড়যন্ত্রমূলক মতামত পেশ করা হয়েছে। আমরা শ্রমিকরা বিড়ি শিল্পের উপর এধরনের বিমাতা সুলভ প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ করছি। যদি বিড়ির মূল্য বৃদ্ধি করা হয় তাহলে নি¤œস্তরের সিগারেট প্রতি শলাকা কমপক্ষে ২০টাকা নির্ধারণ করতে হবে। এসময় শ্রমিকরা বলেন, যতদিন শ্রমিক বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন ততদিন বিড়ি শিল্পের উপর কোন বৈষম্য হতে দিবেন না। প্রধানমন্ত্রীর সুনজর আমাদের উপর ছিল, আছে এবং থাকবে। দেশে সিগারেট থাকলে বিড়িও থাকবে। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও বিড়ি শিল্পের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করব।” 

অনুষ্ঠানে বিড়ি মালিকদের প্রতি শ্রমের ন্যায্য মূল্য দেওয়ারও দাবি করেন শ্রমিক নেতারা ।