বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের ড্রোন মোতায়েন

বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের ড্রোন মোতায়েন

ফাইল ফটো

মেঘালয় থেকে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার পর্যন্ত বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্তে অসংখ্য ইসরাইলি ড্রোন মোতায়েন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ওই অঞ্চল দিয়ে চোরাচালান ও পাচার ঠেকাতে এই কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। তবে ঠিক কতগুলো ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি বিএসএফ। এ খবর দিয়েছে দ্য হিন্দু।
খবরে বলা হয়, ভারতের আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সীমান্ত। এর মধ্যে আসামে রয়েছে ২৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত, যার ১১৯ কিলোমিটারই নদীতীরস্থ। আসামের পশ্চিমাঞ্চলে ধুবরি সেক্টরে পড়েছে ৬১ কিলোমাটির সীমান্তরেখা।

সেখান দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে ব্রক্ষ্মপুত্র নদ। দ্য হিন্দু জানিয়েছে, এই অঞ্চলটি সীমান্তরক্ষী দিয়ে কার্যকরভাবে পাহারা দেয়া কঠিন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে অঞ্চলটিতে নজরদাড়ি বজায় রাখা আরো কঠিন হয়ে পড়ে। যার ফলে অবৈধ পাচারও হয় বেশি।

বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল পিয়ুশ মর্দিয়া জানান, দুর্বল নজরদারি থাকা অংশের মধ্য দিয়ে চোরাচালান হয়। সাধারণত রাতের বেলা এসব কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে। এই ড্রোন মোতায়েন আমাদের শারীরিক ও জীবতত্ত্বিক সীমাবদ্ধতা দূর করবে। ১৫০ মিটার উচু থেকে প্রতিনিয়ত ছবি পাঠাবে ড্রোনগুলো। গরু ও মানবপাচারকারীরা অবশ্য এসব ড্রোন সনাক্ত করতে পারবে। কিন্তু  বিএসএফের পরিকল্পনা হচ্ছে, পাচারকারীদের কাছে এই বার্তা পাঠানো যে, তাদের ওপর রাত-দিন নজরদারি করা হচ্ছে।

ড্রোন ছাড়া ধুবরি সেক্টরে মাটির নিচে থার্মাল-ইমেজার, স্বয়ংক্রিয় তাপমাত্রা পরিমাপক ডিভাইসও স্থাপন করেছে বিএসএফ। যাতে করে মানুষ, প্রাণী ও অন্যান্য বস্তুর চলাফেরার ওপর নজরদারি করা যায়।
দ্য হিন্দু জানায়, ব্রক্ষ্মপুত্র নদ দিয়ে দুই দেশের মধ্যে মাদক ও কফ সিরাপও পাচার হয়ে থাকে।