ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ২ জন রিমান্ডে

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ২ জন রিমান্ডে

নিহত লাবন্য

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্য (২১) নিহতের ঘটনায় দুজনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। এরা হলেন বহনকারী উবার বাইকের চালক সুমন হোসেন (২৭) ও কাভার্ড ভ্যানচালক আনিছুর রহমান (২৩) । 
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশের (উপ-পরিদর্শক) নুরুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আসামিদের আদালতে হাজির করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে সুমন হোসেনকে দুই দিন ও আনিছুর রহমানকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ইউসুফ আলী খান বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, আসামিপক্ষের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, উবার চালক সুমন হোসেন নিজেও অনেক ইনজুরি হয়েছেন। তার নিজের হেলমেটটি ভেঙে গেছে। তিনি নিজেও মারা যেতে পারতেন। সুমন হোসেনকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনও যুক্তিকতা নেই। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জিআরও জামিন বাতিল করে রিমান্ডের দাবি জানান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে উবারের বাইকে করে যাওয়ার সময় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় ফাহমিদা হক লাবণ্য (২১) নিহত হন।
পরদিন শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে উবার বাইকার সুমন এবং শনিবার কাভার্ড ভ্যানচালক আব্দুর রহমানকে আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ।
এদিকে রবিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার তার কার্যালয় সাংবাদিকদের বলেন, লাবণ্য যে উবারের বাইকের আরোহী ছিলেন, সেটির চালক ভুয়া ঠিকানা দিয়ে নিবন্ধন নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, চালক সুমন ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করায় তাকে খুঁজে পেতে পুলিশের সময় লেগেছে। উবার কর্তৃপক্ষও প্রথমে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।