ইলিয়াস কাঞ্চনের পক্ষে শিল্পীদের মানববন্ধন

ইলিয়াস কাঞ্চনের পক্ষে শিল্পীদের মানববন্ধন

ছবি: সংগৃহীত

১৯৯৩ সালে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় এলোমেলো হয়ে যায় নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের জীবন। দুর্ঘটনায় মারা যান স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন। এরপরই নিরাপদ সড়কের দাবিতে ইলিয়াস কাঞ্চন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন শুরু করেন। দীর্ঘ সময় ধরে এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে এ আন্দোলন নিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনকে বিভিন্ন সময় শ্রমিকদের রোষানলে পড়তে হয়েছে। সর্বশেষ নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে গত সপ্তাহে বেশ কয়েক দিন বাস-ট্রাকের শ্রমিকদের যে ‘কর্মবিরতি’ ছিল, সেখানে চলচ্চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবিকে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ উঠেছে।

তার প্রতি অসম্মানজনক আচরণের জন্য প্রতিবাদ এবং জনস্বার্থে ‘জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ পূর্ণ বাস্তবায়নের পক্ষে সোমবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে এফডিসির প্রধান ফটকের সামনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে পরিচালক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, শিল্পী, নৃত্যশিল্পী, চিত্রগ্রাহক, ফাইট ডিরেক্টর, সহকারী পরিচালকসহ সকল সংগঠনের পক্ষ থেকে সকলে মানববন্ধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির হয়ে মুশফিকুর রহমান গুলজার, বদিউল আলম খোকন, পরিচালক ছটকু আহমেদ, শাহ আলম কিরণ, সোহানুর রহমান সোহান, এস এ হক অলিক, শাহীন সুমন, অপূর্ব রানা,  চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষে অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস, মিশা সওদাগর, আলেকজান্ডার বো, জায়েদ খান, ইমন, ইলিয়াস কাঞ্চনের নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের পক্ষ থেকে লিটন এরশাদ, নাসিম রুমিসহ চলচ্চিত্র পরিচালক, সহকারী পরিচালক সমিতিসহ ১৮টি সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মিশা সওদগার বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন এ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছেন। তথাকথিত শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ইলিয়াস কাঞ্চন যে নিয়ম নিয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন সেই নিয়ম নিয়ে তিনি তার বাসায় যাবেন না। সেই নিয়ম হচ্ছে এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য। এ নিয়ম হচ্ছে এ দেশের মানুষের নিরাপদের জন্য। এ নিয়মটাকে লালন ও ধারণ করতে হবে।