সরকার সিরামিক পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা বাড়াবে :টিপু মুনশি

সরকার সিরামিক পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা বাড়াবে :টিপু মুনশি

ফাইল ফটো

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সরকার সিরামিক পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা আরো বাড়াবে। বাংলাদেশের সিরামিক পণ্য ইতোমধ্যেই বিশ্ববাজারে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নত বিশে^ বাংলাদেশের তৈরী সিরামিকের চাহিদা দিন-দিন বাড়ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যান্যুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত তিন দিনব্যাপি ‘সিরামিক এক্সপো-২০১৯’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সিরামিক ম্যান্যুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম এবং অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইরফান উদ্দিন বক্তৃতা করেন।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের সিরামিকের গুণগতমান ও নির্মাণ শৈলী ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করছে। সরকার তৈরী পোশাকের পাশাপাশি যে সকল পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম সিরামিক পণ্য।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিরামিক পণ্য তৈরীর জন্য কাঁচামাল ছাড়া অত্যাধুনিক পরিবেশ বান্ধব ফ্যাক্টরি,গ্যাস-বিদ্যুৎ এবং সহজলভ্য দক্ষ শ্রমিক আমাদের আছে। বিশ্বের যে কোন দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে বাজারে টিকে থাকার সক্ষমতাও বাংলাদেশের আছে। সিরামিক শিল্পকে আরো লাভজনক ও রপ্তানিমূখী করতে সরকার সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। যে সকল ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে, তা চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে।’

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের তৈরী পোশাক নানা প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে আজ বর্তমান অবস্থানে এসেছে। তৈরী পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। বাংলাদেশে সিরামিক শিল্পেরও প্রসার ঘটছে দ্রুত। আন্তরিকতার সাথে কাজ করে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে।

এ শিল্প আমাদের ঐতিহ্য ধারন করে এগিয়ে যাচ্ছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সামনে উজ্জল ভবিষ্যৎ, এ সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে চাই। আমাদের ঘরে ঘরে সিরামিকের ব্যবহার বাড়ছে। দেশেই উৎপাদনের কারণে তুলনামূলক কমদামে মানুষ সিরামিক সামগ্রী ব্যবহার করতে পারছেন।’

উল্লেখ্য, এবার ২০টি দেশের ১২০টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৫০টি ব্রান্ড নিয়ে এক্সপোতে অংশ নিয়েছে। এছাড়া, ৩০০ জন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ও প্রায় ৫০০ জন বায়ার হোস্ট রয়েছে। বিগত ১০ বছরে সিরামিক খাতে উৎপাদন বেড়েছে ২০০ শতাংশ। বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। ৫০ টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশের সিরামিক পণ্য রপ্তানি করে আয় হচ্ছে প্রায় ৫ কোটি ডলার। বর্তমানে সিরামিক শিল্পে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। এ শিল্পে দেশের প্রায় ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।