পুলিশের গাড়িতে হামলার তদন্ত হচ্ছে

পুলিশের গাড়িতে হামলার তদন্ত হচ্ছে

মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে হামলা হয়

রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি নাশকতার উদ্দেশ্যে হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গাড়িটি লক্ষ্য করে বোমা জাতীয় কিছু ছুড়ে মারার কারণেই এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ওই গাড়িতে থাকা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদা আক্তার ও রিকশাচালক লাল মিয়াসহ দুই পথচারী আহত হন। রবিবার রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে মালিবাগ মোড়ে ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের একটি গাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। ঘটনাস্থলে আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করছে। বিস্তারিত দেখার পর এক্সপার্টরা বলতে পারবে, বিস্ফোরকটি ছুড়ে মারা হয়েছে, নাকি আগে থেকে প্ল্যান করে রাখা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘এখানে পাশেই রয়েছে সিটি এসবি অফিস ও সিআইডি অফিস। এই মোড়ে সবসময় পুলিশের গাড়ি স্ট্যান্ডবাই থাকে৷ রাত ৮টা ৪৫মিনিটের দিকে বিস্ফোরণটি ঘটে। পাশে ট্রাফিক পুলিশের একজন নারী সদস্য ঘটনাস্থলে ডিউটিতে ছিলেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য ও একজন রিকশা চালক আহত হয়েছে।’

সিটিটিসি প্রধান বলেন, ‘এই গাড়ির চালক ও প্রত্যক্ষদর্শী যারা ছিলেন, তারাও কেউ কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।’

এর আগে রাজধানীর গুলিস্তানে আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে হওয়া হামলার ঘটনার সঙ্গে মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনার কোনও মিল আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গুলিস্তানের ঘটনায় কারা জড়িত ছিল তা সুনির্দিষ্টভাবে এখনও বের করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিক অবস্থায় এই ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা ঠিক হবে না।’