মিয়ানমারের উপর চাপ বাড়ানোর প্রস্তাব জাতিসংঘ দূতের

মিয়ানমারের উপর চাপ বাড়ানোর প্রস্তাব জাতিসংঘ দূতের

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা গণহত্যার হোতাদের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার জন্য সংস্থার ওপর চাপ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। রোহিঙ্গা গণহত্যা সংক্রান্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহের লক্ষ্যে ছয় দিনের বাংলাদেশ সফরের শেষভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমার পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক আদালতে নিতে ব্যর্থ হয়েছে।'

ইয়াং হি বলেন, 'আমি মনে করি, ব্যর্থতার জন্য আমাদের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ওপর চাপ বাড়ানো অব্যাহত রাখতে হবে।' একই সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতার জন্য তিনি খোলাখুলি চীন ও রাশিয়াকে দায়ী করে বলেন, 'এটি সত্যিই দুঃখজনক’, আমি অনেকবার বলেছি মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য কিছু করতে না পারা এই দুই দেশের জন্য লজ্জাজনক।' এখন তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে রিপোর্ট পেশ করবেন বলেও জানান তিনি।

জাতিসংঘ ২০১৪ সালে ইয়াং হি লিকে মিয়ানমারের পরিস্থিতির ব্যাপারে দায়িত্ব দেয়। কিন্তু মিয়ানমার এখনো তাকে দেশটিতে ঢুকতে দেয়নি। ফলে তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহে বাধ্য হয়েছেন। এ পর্যন্ত তিনি বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি বলেন, 'আমি আশাহত, তবে আমাকে সত্য বলতে হবে।'

 

তিনি আরো বলেন, 'জাতিসংঘের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ হওয়ার পরও তিনি এ পরিস্থিতি উন্নয়নে সাধ্যমত কাজ করবেন। কক্সবাজারে আশ্রয় শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি তাদের মধ্যে নিজ বাসভূমিতে ফিরে যাওয়ার গভীর আকাঙ্ক্ষা লক্ষ্য করেছেন।'

প্রতিবেদনে সিয়েরা লিওন, রোয়ান্ডা ও বসনিয়া-হার্জগোভিনার নৃশংসতার বিচারে গঠিত আদালতের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কার্যকর শাস্তির ব্যবস্থা করতে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি এডহক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব থাকবে বলে জানান তিনি। তিনি ট্রাইব্যুনালটি আইসিজে ও আইসিসির সম্পূরক করার প্রস্তাব করেছেন।