বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন ইবির ৫০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন ইবির ৫০ শিক্ষক-শিক্ষার্থী

ছবি:সংগৃহীত

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উচ্চশিক্ষায় গবেষণা সহায়তা প্রকল্প ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩৯ শিক্ষার্থী। একইসাথে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচী’ খাত হতে বিশেষ অনুদানের জন্য ১১ জন শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন।

সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান ফেলোশিপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভৌতবিজ্ঞান এবং জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন বিভাগের যথাক্রমে ২৯ ও ১০ জন শিক্ষার্থী পাচ্ছেন এ ফেলোশিপ। ভৌতবিজ্ঞানে ফেলোশিপ পাচ্ছেন ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ২৪ জন, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪ জন ও এবং ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের ১ জন শিক্ষার্থী।

এছাড়াও জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ৩ জন ও বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৭ জন শিক্ষার্থী পাচ্ছেন এ ফেলোশিপ। ফেলোশিপে এমএসসি শিক্ষার্থী ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল গবেষক (১ম বর্ষ ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা, ২য় বর্ষ ৯৯০০০ টাকা) এবং পিএইচডি গবেষক তিন লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন।

এদিকে মন্ত্রণালয়ের ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচী’ খাত হতে বিশেষ অনুদানের জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষক (প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর) নির্বাচিত হয়েছে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদা প্রজেক্টে অনুদান পাচ্ছেন বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩ জন, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ২ জন, ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২ জন , ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ৩ জন ও ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের ১ জন শিক্ষক।

উল্লেখ্য, ১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থবছর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত/গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান প্রদান করা হয়। এবছর ভৌতবিজ্ঞান, জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান এই ৩ ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩ হাজার ২০০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।