আবুল হায়াত ও শিরী হায়াতের বিবাহিত জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ

আবুল হায়াত ও শিরী হায়াতের বিবাহিত জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ

ছবি:সংগৃহীত

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত ও তার সহধর্মিণী শিরী হায়াত (শিরীন) তাদের বিবাহিত জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করলেন। মুক্তিযুদ্ধের আগের বছর অর্থাৎ ১৯৭০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আবুল হায়াত ও শিরী হায়াতের আকদ সম্পন্ন হয়। সেই বছরেরই ৭ জুলাই আবুল হায়াত ওয়ালিমা সম্পন্ন করে তার নিজের বাড়িতে তুলে নেন।

আবুল হায়াত যে সময় বিয়ে করেন তখন তিনি ঢাকা ওয়াসাতে চাকরি করতেন। তখন তিনি বেতন পেতেন ৫৫০ টাকা। দেখতে দেখতে বিবাহিত জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করার মধ্যদিয়ে এক অন্যরকম সুখ অনুভব করছেন আবুল হায়াত। আবুল হায়াত বলেন, ‘দেখতে দেখতে আমরা আমাদের বিবাহিত জীবনের ৫০ বছর পূর্ণ করেছি, এটা ভাবলেই যেন অবাক হই।

কারণ এতটা বছর যেন চোখের পলকেই চলে গেল। কেবলই মনে হয় এইতো সেদিনই শিরী আমার ঘর আলোকিত করতে আমার জীবনে এসেছিল। আমরা একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলাম, একে অন্যের প্রতি আস্থা রাখতাম, আর ভালোবাসাতো ছিলই। যে কারণে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই জীবনের এতটা পথ পাড়ি দিতে পেরেছি। আমি অবশ্যই কৃতজ্ঞ শিরীর কাছে, কারণ সে যদি আমার সংসারটা আগলে না রাখত, আমার সন্তানদের সঠিকভাবে লালন পালন না করত, তাহলে হয়তো আমার এত বর্ণাঢ্য জীবন হতো না। অভিনয়ে আমি আমার নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারতাম না।

শিরীর কারণেই আজকের আমার আমি। হয়েছি আমি গর্বিত দুই মেয়ে বিপাশা ও নাতাশার বাবা। পেয়েছি খুব ভালো মনের দু’জন জামাই, একজন তৌকীর আহমেদ, অন্যজন শাহেদ। দু’জনকে নিয়েও আমি বেশ গর্বিত। সত্যিই সুন্দর জীবন আমাদের, এক বর্ণাঢ্য দাম্পত্য জীবন আমাদের। আর এখনতো নাতি-নাতনীদের নিয়েই সময় কেটে যায়। আল্লাহর কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা যে, তিনি আমাদের সুন্দর জীবন দিয়েছেন।’