ইবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের দিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম

ইবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের দিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম

ছবি : সংবাদাতা

ক্যাম্পাসের এখানে সেখানে দলবেধে আবর্জনা কুড়াচ্ছে কিছু ছেলে মেয়ে। তারা টোকাই নয়। নয় পরিচ্ছন্নতাকর্মীও। তারা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতায় কাজ করছেন তারা। শিক্ষকদের দিকনির্দেশনায় বিভাগের প্রায় ১৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন এ কার্যক্রমে। ক্যাম্পসের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার অংশ হিসেবে তার এ কর্মসূচী পালন করেন। আর এ জন্য বেছে নিয়েছেন অধিবর্ষের ব্যাতিক্রমী এই দিনকে।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে প্রধান ফটক সংলগ্ন মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বিভাগের প্রভাষক বিপুল রয়, ইফাত আরা, ইনজামুল হক ও আনিসুল কবিরের দিকনিদের্শনায় শিক্ষার্থীরা ১২ টি দলে বিভক্ত হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে দিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

বিভাগীয় সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাসের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূগোল বিভাগ। এর অংশ হিসেবে শনিবার  পরিচ্ছন্ন অভিযান চালায় তারা। এ অভিযানে পাওয়া আবর্জনার মধ্য থেকে প্লাস্টিক, পলিথিনসহ যে পণ্যগুলো পূনঃব্যবহার করা যায় সেগুলোকে ব্যবহার করা হবে এবং বাকিগুলো পুড়িয়ে বা অন্য কোনোভাবে ধ্বংস করা হবে।

এ বিষয়ে বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর ফরুক বলেন, ‘আমরা আমাদের ক্যাম্পাসকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চাই। আর তাছাড়া আজ বছরের একটি ব্যতিক্রমী দিন হওয়ায় সবাই স্বতোফূর্তভাবে পরিচ্ছন্ন এ অভিযানে অংশ নিয়েছেন।’

বিভাগের প্রভাষক বিপুল রায় বলেন, ‘ক্যাম্পাসকে ইকো ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এর আগেও আমরা প্লাস্টিক নিয়ে কাজ করেছি। আজকের পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হলো। এই অভিযানের মাধ্যমে আমরা জানার চেষ্টা করছি প্রতিদিন কি পরিমাণ আবর্জনা সৃষ্টি হয়। এখান যে আবর্জনাগুলে পুনরায় ব্যবহার করা যায় সেগুলো সংগ্রহ করব।’

উদ্বোধন শেষে উপাচার্য বলেন ‘আমরা হয়তো সারাদেশ পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নিতে পারব না। কিন্তু চাইলে আমাদের ১৭৫ একরের এই ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি। পরিচ্ছন্নতায় শিক্ষার্থীদের এই চিন্তা ও উদ্যোগ প্রশংসনীয় ও আশা জাগানীয়া।’