তুরস্কে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন ইবির ৮৯ শিক্ষার্থী

তুরস্কে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন ইবির ৮৯ শিক্ষার্থী

ছবি : সংবাদাতা

তুরস্কে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন ইবির ৮৯ শিক্ষার্থীউচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার জন্য তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৯ শিক্ষার্থী। একইসাথে গবেষণার সুযোগ পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ জন শিক্ষক। মেভলোনা একচেঞ্জ প্রোগ্রামের অধীনে ইউরোপীয় এ দেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। সোমবার প্রশাসন ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, দুই দেশের মধ্যে হওয়া মোবিলিটি চুক্তির অধীনে ২০ টি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে তুরস্কের কাফকাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩ টি বিভাগ থেকে ৫৪ জন শিক্ষার্থী ও ২৬ জন শিক্ষক, ইগদির বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ টি ২০ জন শিক্ষার্থী ও ২০ জন শিক্ষক এবং চানকেরি কারাতেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ জন শিক্ষার্থী ও ৯ জন শিক্ষক অধ্যয়ন ও গবেষণার সুযোগ পাবেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ও আবাসনসহ সকল খরচ তুরস্ক বহন করবে বলে জানা যায়।

শিক্ষার্থীরা ৫ মাস এবং শিক্ষকরা ১৪ দিনের জন্য এ প্রজেক্টে অংশ নিতে পারবেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রথমে বিভাগ শিক্ষার্থীদেরকে মনোনয়ন করে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনে জমা দেবে। অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন এই তালিকা তুরস্কের বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে প্রেরণ করলে তারা চুড়ান্ত মনোনয়ন করবে।

উচ্চশিক্ষা-গবেষণার সুযোগ পাওয়া বিভাগগুলো হলো, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োটেকনোলজি, পদার্থ, রসায়ন, গণিত, পরিসংখ্যান, ফার্মেসি, জীব বিজ্ঞান, ফুড সায়েন্স, পরিবেশ বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা (ম্যানেজমেন্ট), মার্কেটিং, ট্যুরিজম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, আইন, ইংরেজি, আরবি ও চারুকলা।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিসনের পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসাইন আজাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপাচার্য বলেন, ‘গোটা বিশ্বে উচ্চ শিক্ষা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। একুশ শতকে মোবিলিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অধ্যয়ন ও গবেষণার এ সুযোগ আমাদের জন্য একটি বড় সৌভাগ্যের বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিকিকরণের পথে এই একচেঞ্জ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

উল্লেখ্য, এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।