আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণও ৬ মাস খেলাপি হবে না

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণও ৬ মাস খেলাপি হবে না

ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংকের মতো ব্যাংকিং বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণও আগামী জুন পর্যন্ত খেলাপি করা যাবে না। গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি মোকাবেলায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি বিদ্যমান ঋণ, লিজ, অগ্রিমের শ্রেণীমান ৩০ জুন পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। তবে এসময়ে কোনো গ্রাহকের শ্রেণীমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে পরিবর্তন করা যাবে।

এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারি আকার ধারন করেছে। বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে করোনা ভাইরাসের বিরূপ প্রভাবের কারণে ঋণ গ্রহীতাদের আর্থিক ক্ষতি ও ঋণের অর্থ পরিশোধের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হলো।

ব্যাংকের ঋণ শ্রেণীকরণ বিষয়ে গত ১৯ মার্চ সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি ঋণের শ্রেণিমাণ যা ছিল আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। তবে কোনো ঋণের শ্রেণীমানের উন্নতি হলে তার উন্নতি দেখানো যাবে। বিদ্যমান নিয়মে কোনো ঋণের কিস্তি ৬ মাস মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তিনি খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হন। এছাড়া ঋণের শ্রেণীমান বিবেচনায় ব্যাংকগুলোর মুনাফা থেকে প্রভিশন রাখতে হয়।

বর্তমানে কোনো ঋণ ৬ মাস অপরিশোধিত থাকলে সাব স্ট্যান্ডার্ড, ৯ মাস থাকলে নিন্মমাণ এবং এক বছর থাকলে ক্ষতিজনক মান বিবেচনা করা হয়। এছাড়া সাব স্ট্যান্ডার্ডের আগের অবস্থা স্পেশাল মেনশন অ্যাকাউন্ট বা এসএমএ হিসেবে বিবেচিত হয়।