COVID-19: আমাদের করণীয়

COVID-19: আমাদের করণীয়

ফাইল ছবি

COVID-19 এক বৈশ্বিক মহামারির নাম। প্রশ্ন,ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা থেকে আমি কী করতে পারি? কচ্ছপ বা শামুকের মত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লুকিয়ে থাকতে পারি? নাহ ! আমি না মানুষ!!! আমার জন্য এমন আচরণ একেবারেই বেমানান। আর মৃত্যু থেকে পালানো যায় না। তাহলে কি করবো---সুদৃঢ় বিশ্বাস হবে আমার ভালো-মন্দের চূড়ান্ত নির্দেশনা একমাত্র মহান রবের কাছ থেকে আসবে। দৈনন্দিন জীবনে কুরআন-সুন্নাহ এবং বিষয় বিশেষজ্ঞগণের মতামতকে নিজের আবেগ ও ইচ্ছার উপরে নিশ্চিতভাবে প্রাধান্য দিব। আরো যা করতে পারি— সময়ের অপচয় করাও হারাম। এটাকে বন্ধ করে বেশি ইবাদাত করা,কেবল খবরাখবর নয় বরং মহামারি বিষয়ক জ্ঞানচর্চা করা,আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের খোঁজখবর নেয়া,শিক্ষার্থীদের নিজের পড়ালেখা করা ইত্যাদি। আপদকালীন সময়ে সামর্থানুযায়ী নিকটজন, প্রতিবেশি, অধীনস্তদের মধ্য থেকে ১টি করে হলেও পরিবারের ডাল-ভাতের দায়িত্ব নিতে চেষ্টা করা। সেটিকে উসিলা করে আল্লাহ তা‘আলার কাছে নিরাপত্তা চাওয়া। ইসলামিক স্কলারগণ (বিশেষজ্ঞ ওলামা) আখিরাতে বিশ্বাসীদের বাতিঘর হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন। তাঁদের মূল্যবান নির্দেশনা পেতে দেশের দ্বীনপ্রিয় মানুষেরা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মসজিদের মিম্বার থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছুটে যান। এমনকি অনেক অশীতিপর বৃদ্ধ লাঠি বা কারো কাঁধে ভর দিয়ে সেখানে হাজির হন। তাঁদের কাছে আমাদের এমন প্রত্যাশা করা কি খুবই বেশি কিছু হবে যে, নিজেরা আলাপ করে জাতীয় ইস্যুতে একমত হওয়া অথবা কাছাকাছি মতৈক্যে গিয়ে জাতিকে জানানো যে, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত বা জুমার সালাতে মানুষেরা মসজিদে যাবে কিনা, সমস্যার মধ্যে জানাজাটা কিভাবে করবে, আসন্ন রমাদান,তারাবিহ,লক্ষ কুরআনে হাফিজের ব্যস্ততা নিয়ে কি করতে হবে। আল্লাহ না করুন, এ পরিস্থিতি প্রলম্বিত হলে, সে বিকল্প চিন্তাও মাথায় রাখা দরকার। আল্লাহ তাআলা যাদেরকে সম্পদ ও স্বচ্ছলতা দিয়ে দয়া করেছেন,তারা যেন মন্দার কারণে যাকাত ও দান সদাকাকে ২.৫% মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখেন। বিগত সময়ের চেয়ে দানের পরিমাণ বাড়িয়ে আরশের মালিকের কাছে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা চেয়ে নিতে পারেন। প্রিয়জন ও মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে সম্পূর্ণ বৈরি পরিবেশে জীবনযুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামকারীরা হলেন, প্রবাসী। তাদের প্রতি ঘৃণা ছড়ানো বা বালাই মনে করা অনেক বড় জুলুম বলে মনে করি। তাদেরকে দরদভরা আচরণে সচেতন করা জরুরি। এবারের রমাদান ও ঈদ বাজেটে আল্লাহর মেহমানদেরকে ভালোভাবে শরীক করে জীবন ও সম্পদের অধিকতর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি। আসমান ও জমীনের মালিক যেন আমাদের কল্যাণ চিন্তা ও কাজকে কবুল করেন। আমাদের দু‘আয় তাদেরকে শরীক করতে যেন ভুলে না যাই, যাদের বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান, পরিজনেরা জেনে শুনে মানুষের সেবায় নিবেদিত থাকায় সাহস যোগাচ্ছেন অর্থাৎ আমাদের চিকিৎসকগণ। একই সাথে গোটা দুনিয়ায় বিপন্ন মানুষের সেবায় নিয়োজিত সকলের জন্যই প্রাণখোলা দু‘আ করা অপরিহার্য নয় কী? আমীন। লেখক: ড. মীর মনজুর মাহমুদ,