করোনাভাইরাসেও বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানীগুলোর রমরমা ব্যবসা

করোনাভাইরাসেও বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানীগুলোর রমরমা ব্যবসা

ফাইল ছবি

নিউজজোন ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনাভাইরাসে গোটা মানবজাতি যখন চরম দুর্যোগপূর্ণ সময় অতিবাহিত করছে তখন বহুজাতিক ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানী ও জাপান ট্যোবাকো কোম্পানী সিগারেটের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগেই তারা বিপুল পরিমাণ সিগারেট উৎপাদক করে মজুদ করে রাখে। পুরো দেশ লকডাউন হওয়ার আগেই দোকানগুলোতে বিপুল পরিমাণ সিগারেট সরবরাহ করে। দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্প শ্রমিক নির্ভর হওয়ায় ভাইরাস প্রতিরোধে উৎপাদক বন্ধ হয়ে পড়ে। কিন্তু সিগারেট মেশিনে প্রস্তুত করা হয় বিধায় কোম্পানীগুলো অতিরিক্ত পরিমাণ সিগারেট প্রস্তুত করে। ফলে দেশীয় শিল্প বন্ধ হওয়ায় বিদেশী সিগারেট কোম্পানীগুলো একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছে।

তথ্য মতে, গত বছরের শেষে চীন থেকে বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে মহামারী করোনাভাইরাস। এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ মৃত্যু বরণ করে। ভাইরাসের প্রকট আকার ধারণ করায় বাংলাদেশসহ বিশে^র অনেক দেশ লকডাইন করে দেয়। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব লক্ষ করে বিদেশী সিগারেট কোম্পানীগুলো বিপুল পরিমান সিগারেট তৈরী করে রাখে। এদিক দিয়ে এগিয়ে আছে বহুজাতিক কোম্পানী ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানী। তারা বিপুল পরিমাণ সিগারেট তৈরী করে মজুদ করে রাখে। সিগারেট যেহুত মেশিনে তৈরী হয়। সেজন্য অল্প সময়ে প্রচুর পরিমাণ সিগারেট প্রস্তুত করতে পারে। প্রস্তুতকৃত সিগারেট দ্রুত সময়ে বাজারে সরবরাহ করে। বর্তমানে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও পূর্বে অতিরিক্ত উৎপাদিক সিগারেট দিয়ে তারা ধূমপায়ীদের যোগান দিতে সক্ষম হচ্ছে।
এদিকে দেশীয় কুটির শিল্প বিড়ি উৎপাদনে শ্রমিক নির্ভর হওয়ায় করোনাভাইরাসের কারণে বিড়ি কারখানাগুলো বন্ধ রয়েছে। ফলে বিড়ি উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিড়ি যেহুতু শ্রমিকদের মাধ্যমে হাতে তৈরী করতে হয় সেজন্য তারা বেকার হড়ে পড়েছে। একদিকে  করোনার থাবা অন্যদিকে কর্মহীন এ মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে।

এদিকে বিড়ি কারখানাগুলো বন্ধ হওয়ায় বিড়ি ভোক্তারা সিগারেটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ফলে একচেটিয়া ব্যবসা করছে বিদেশী সিগারেট কোম্পানীগুলো। একচেটিয়া ব্যবসার সুবাদে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা লাভ করছে। এরফলে তারা এদেশ থেকে মোটা অংকের টাকা পাচারের সুযোগ পাচ্ছে। সরকার এদিকে দৃষ্টি না দিলে দেশ বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখিন হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।