"করোনা মোকাবিলায় অসহায় মানুষদের পাশে বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগ ; অর্থায়নে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাইম"

"করোনা মোকাবিলায় অসহায় মানুষদের পাশে   বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগ ; অর্থায়নে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাইম"

ছবিঃ বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

শেখ ফাহিম বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি করোনা প্রতিরোধে ঘরবন্দী পুরো বিশ্ব। প্রচুর প্রানহানির পাশাপাশি আরো আতঙ্ক অর্থনৈতিক বিপর্যয় নিয়ে। সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলো। দৈনিক কর্মের পথ বন্ধ থাকায় বন্ধ তাদের রোজগারও। এই প্রেক্ষিতে অসহায় মানুষগুলোকে দুমোঠো সাহায্য তুলে দিতে তৎপর জনদরদী নেতাকর্মী ও সমাজের বিত্তবান মানুষ। উক্ত ধারাবাহিকতায় গোপালগঞ্জ-২ আসনে ত্রান বিতরণে অর্থায়ন করেন, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম। যার অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ সহ আশেপাশের এলাকায় ত্রান বিতরণ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বশেমুরবিপ্রবি শাখা। এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা এস এম ফাহাদ সার্জিল বলেন, গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের প্রাণ ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ভাইয়ের অর্থায়নে এ কর্মকাণ্ডে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টাররুলে কর্মরত কর্মচারী, দরিদ্র শিক্ষার্থী এবং পাঁচুড়িয়া,নবীনবাগ,সোনাকুড়, নিলামাঠ,গোবরা মাদ্রাসা, গোবরা চৌধুরপাড়া,ঘোনাপাড়া এবং _____ এলাকায় ত্রান বিতরণ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্রলীগ নেতা বাবু জানান, তারা প্যাকেটপ্রতি ৫ কেজি চাউল, ২ কেজি ডাউল, ১ লিটার তেল,২ কেজি আলু, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি পেঁয়াজ এবং ১ টি করে সাবান দেন। উক্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অনুভূতি জানাতে যেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আরেক নেতা শেখ তারেক বলেন, অনেক ভালো লাগছে বৈশ্বিক ক্রান্তিকালে এরকম একটি কাজে অংশগ্রহণ করতে পেরে। বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগের প্রতিটি কাজে সবসময় শেখ সেলিম(সাংসদ,গোপালগঞ্জ-২) চাচা এবং তার পুত্র যুবলীগের গর্ব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ভাই এর উন্মুক্ত সহযোগিতা ও শুভকামনা থাকে। আর আজকের কার্যক্রমটি পুরোপুরি শেখ নাঈম ভাইয়ের পক্ষ থেকে করা হয় গোপালগঞ্জ-২ আসন জুড়ে। আমরা বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে অনেক আনন্দিত এবং কৃতজ্ঞ এ কাজে অংশগ্রহণের সূযোগ পাওয়ায়। পাশাপাশি, তিনি এহেন ক্রান্তিকালে দেশ তথা সারা বিশ্বের জন্য শুভকামনা করেন। আজকের কার্যক্রম এবং বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগ সম্পর্কে জানতে চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগ এখনও নাম পরিচয়হীন। কোনোরকম সাংগঠনিক স্বীকৃতি ছাড়াই শুরু থেকে বিভিন্ন সামাজিক এবং ছাত্রবান্ধব কাজে অংশগ্রহণ করে আসছে উক্ত সংগঠনটি। তবে, যথাযথ কতৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে এই এপ্রিলেই সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নিয়ে। তবে, করোনা আতঙ্কে পুরো বিশ্ব স্তব্ধ থাকায় থেমে আছে এই কার্যক্রমটি। আমরা বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগ মনেপ্রাণে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, বৈশ্বিক এই বিপর্যয় কাটুক এবং বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রলীগ তার প্রাপ্ত স্বীকৃতি পাক।