মিন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবি

মিন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবি

আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি

বরগুনার রিফাত শরীফের হত্যাকাণ্ডে তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন তার শ্বশুর আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। শনিবার রাতে বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ দাবি জানান।

গত ২৫ জুন জেলা শহরের কলেজ রোডে রিফাতকে (২৩) তার স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে আহত করে একদল লোক। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

হামলার সময় স্বামীকে বাঁচানোর জন্য মিন্নিকে হামলাকারীদের বাধা দিতে দেখা যায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে।  

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

এ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ছয়জনসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে দুলাল শরীফ লিখিত বক্তব্যে ১০টি কারণ উল্লেখ করে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি তার ছেলে রিফাত হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন, নয়নের সঙ্গে বিয়ের ঘটনা মিন্নি ও তার পরিবার ‘সুকৌশলে’ গোপন করে গেছেন। ওই বিয়ে বহাল থাকা অবস্থায় শরিয়া বহির্ভূতভাবে মিন্নি তার ছেলেকে বিয়ে করেছেন।

“রিফাতের সঙ্গে বিয়ের পরও মিন্নি নয়নের বাসায় আসা-যাওয়া ও যোগাযোগ রক্ষা করতেন।”

তিনি বলেন, রিফাত হত্যার আগের দিন ২৫ জুলাই মিন্নি নয়নের বাসায় গিয়েছিলেন। মিন্নি প্রতিদিন একা একা কলেজে গেলেও ২৬ জুলাই রিফাতকে ডেকে কলেজে নিয়ে গেছেন।

রিফাত তার স্ত্রী মিন্নিকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চলে আসতে চাইলেও মিন্নি কৌশলে কালক্ষেপণ করেছেন বলে দুলাল শরীফের দাবি।

তিনি বলেন, রিফাতকে যখন রিশান ফরাজী দলবল নিয়ে জাপটে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন মিন্নি স্বাভাবিকভাবে হাঁটছিল। রিফাতকে কোপানোর সময় মিন্নি আসামিদের জাপটে ধরলেও মিন্নিকে আসামিরা কোপায়নি। “আহত রিফাতকে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা না করে মিন্নি তার জুতা ও ব্যাগ ওঠাতে ব্যস্ত ছিল। আহত রিফাতকে বরিশাল নেওয়া হলেও মিন্নি তার সঙ্গে যায়নি।”

দুলাল শরীফ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। মিন্নিকে গ্রেপ্তার না করায় তিনি পুলিশের সমালোচনা করেন।

তার বিশ্বাস পুলিশ মিন্নিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে (রিমান্ড) নিলে এ হত্যাকাণ্ডের সত্যতা তথা প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে, বলেন তিনি।

এ ব্যাপারে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, নয়ন বন্ডের সঙ্গে তার বিয়ে হয়নি। জোরপূর্বক কাবিনে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিল।

তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, খুনিদের বাঁচানোর জন্য তাকে জড়ানো হচ্ছে। তিনিও রিফাত হত্যাকারীদের বিচার চান।