চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমওসহ দুই চিকিৎসকের করোনা সনাক্ত,বন্ধ হলো ওটি কার্যক্রম

চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমওসহ দুই চিকিৎসকের করোনা সনাক্ত,বন্ধ হলো ওটি কার্যক্রম

যশোর প্রতিনিধি

যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও)সহদুজন চিকিৎসক নতুন করে করোনা সনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া আগের সনাক্ত গর্ভবতী নারীর(২৮) করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার।

এদিকে এত সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স করোনা আক্রান্ত হওয়ায় চৌগাছা হাসপাতালেরঅপারেশন থিয়েটার (ওটি) কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

এনিয়ে চৌগাছায় করোনা রোগী হলেন ১৪ জন। যার মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের৪ জন চিকিৎসক ও ৩ জন নার্স রয়েছেন। এছাড়া নেগেটিভ হয়েছেন একমাত্র গর্ভবতীনারী। ওই নারীর ডেলিভারী ডেট রয়েছে ৯ মে। এখন ওই নারীকে কোথায় সিজার করা হবে সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে স্বাস্থ্য বিভাগে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার জানান গতকাল সোমবার হাসপাতালের ৫ জন চিকিৎসক ও স্টাফ, চৌগাছায় আগে সনাক্ত গর্ভবতী নারী এবং অন্য একজন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে সোমবারই পরীক্ষা শেষে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এবং অন্য একজন মেডিকেল অফিসার করোনা পজেটিভ হয়েছেন। তাছাড়া আগে সনাক্ত গর্ভবতী নারীর করোনা নেগেটিভ এসেছে। তিনি আরো জানান এত সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স করোনা সনাক্ত হওয়ায় হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার

(ওটি) বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এখন ওই গর্ভবতী নারীর সিজার কোথায় করানো হবে তা নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে। তিনি জানান ওই নারীর সন্তান ডেলিভারির ডেট রয়েছে আগামী ৯ মে।

এরআগে ২২ এপ্রিল উপজেলার বানুড়হুদা গ্রামের গর্ভবতী ২৮ বছর বয়সী ওই নারী হাসপাতালের প্রস‚তি বিভাগে ভর্তি হন। হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওই নারীর করোনা উপসর্গ আছে মনে হলে ২৩ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানোর পরপরই ওই নারী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। ২৫ এপ্রিল ওই নারীর করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। ২৬ এপ্রিল হাসপাতালে ওই নারীর সংস্পর্শে আসা স্টাফদের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে

তার সংস্পর্শে আসা তিন নার্স করোনা পজেটিভ হন।

এছাড়া ২২ এপ্রিল চৌগাছার প্রথম রোগী হিসেবে এক নারী ও এক কিশোর সনাক্ত হন। এরপর ২৫ এপ্রিল সনাক্ত হয় গর্ভবতী নারীর। ২৬ এপ্রিল সনাক্ত হন প্রথমদিন সনাক্ত নারীর স্বামী এবং প্রথমদিন সনাক্ত কিশোর স্কুলছাত্রকে চিকিৎসা দেয়া চৌগাছা উপজেলা হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার। ২৭ এপ্রিল সনাক্ত হয় ওই

কিশোর স্কুলছাত্রের নানা ও নানী। ২৮ এপ্রিল সনাক্ত হয় আগে সনাক্ত গর্ভবতী

নারীর সংস্পর্শে আসা প্রস‚তি বিভাগের তিনজন নার্স এবং শহরের ডিভাইন গার্মেন্টসের এক নারী কর্মী। ২৯ এপ্রিল সনাক্ত হয় হাসপাতালের আরো একজন চিকিৎসক। এরপর মঙ্গলবার সনাক্ত হলেন হাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ

দুচিকিৎসক।