বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের স্বার্থে মেস ভাড়া মওকুফের জন্য দাবি শিক্ষক সমিতির

বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের স্বার্থে মেস ভাড়া মওকুফের জন্য দাবি শিক্ষক সমিতির

ছবিঃ সংগ্রহীত

চলমান সংকটে স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে দেশজুড়ে। অফিস-আদালত হতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবকিছু বন্ধ মাসজুড়ে। বহু আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলে।

নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রায় ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে বাড়িতে অবস্থান করছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। সবকিছু থমকে থাকায় উপার্জন বন্ধ সিংহভাগ নাগরিকের। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভাড়া বাড়িতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। যেখানে স্বাভাবিক উপার্জন বন্ধ সেখানে বাসা ভাড়া কিভাবে দিবে এ নিয়ে সংশয়ে সর্বমহল।

এহেন পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবং বাড়িমালিকদের সাথে আলোচনাসাপেক্ষে বিষয়টির সুস্থ সুরাহা করেছেন। যার ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ এর শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কে একটি লিখিত আবেদনপত্র দেওয়া হয়।


যেখানে, শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া সংক্রান্ত জটিলতায় জেলা প্রশাসন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনাসাপেক্ষে একটি সিদ্ধান্তে আসার ব্যাপারে আর্জি জানানো হয়।

এবিষয়ে, শিক্ষক সমিতির প্রচার সম্পাদক শামসুল আরেফীন বলেন, বাড়িভাড়া সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের জন্য, আমরা কয়েকসপ্তাহ আগে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর স্যারকে মৌখিকভাবে আবেদন জানাই। বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও এব্যাপারে প্রশাসনের কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ না পাওয়ায় আমরা আজ সকালে মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর একটি লিখিত আবেদন জানাই।

আবেদনপত্রে উল্লেখিত, ছাত্রকল্যাণ ফান্ড থেকে সাহায্যর আবেদন এবং এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার বিষয়ে তিনি বলেন, বিগত ভাইস চ্যান্সেলরের সময়কালে দুই কোটি টাকার একটি ছাত্রকল্যাণ ফান্ড গঠণ করা হয়। যেটি এখোনো সচল। উক্ত ফান্ড থেকে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য আমরা মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর স্যারের দ্বারস্থ হলে তিনি সেটিতে কোনো ভ্রুক্ষেপ করেননি। পরবর্তীতে তিনি প্রতি বিভাগের চেয়ারম্যান কে মোবাইলের মাধ্যমে জানান বিভাগীয় ফান্ড থেকে সহায়তা করার। কিন্তু কোনো লিখিত আদেশ ছাড়া কোনো বিভাগ টাকা খরচ করতে চান না। কারণ, এতে করে পরবর্তীতে কোনো হিসাবনিরক্ষণ হলে বিভাগগুলো দাপ্তরিক জটিলতায় পড়তে পারে। সবমিলিয়ে, এই জটিলতম সময়ে অসহায় শিক্ষার্থীরা যেনো ন্যূনতম সহায়তাটুকু পায় সে উদ্দেশ্যে আমরা এই আদেশটি লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে আবেদন জানালেও প্রশাসন এব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি। যার দরুণ, উক্ত বিষয়গুলো আমরা আবার আজকে আবেদনপত্রে উল্লেখ করি।

এব্যাপারে, জানতে চাইলে বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে একটি মানবিক আবেদন করেছি বাড়ি মালিকদের কাছে।

তবে সেটিতে উল্লেখযোগ্য কোনো সাড়া আসেনি। যেহেতু, বাড়িভাড়া কমানো বা এ সংক্রান্তবিষয়ে কোনো আইন প্রণিত নেই,সুতরাং সম্পূর্ণ বিষয়টি বাড়িমালিকদের মানবিক বিষয়। তবে, মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর স্যারের সাথে আমার কথা হয়েছে। আমরা আজ সন্ধ্যার পর আলোচনায় বসবো সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে।