করোনা সংকটে ছাত্র উপদেষ্টাকে পাশে চায় বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

করোনা সংকটে ছাত্র উপদেষ্টাকে পাশে চায় বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র উপদেষ্টা কাজী মশিউর রহমান

শেখ ফাহিম 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি 

মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপে সারা বিশ্ব আজ অসহায়। কোভিড ১৯ নামক এই ক্ষুদ্র অণুজীবকে পরাজিত করতে টিকা আবিষ্কারের জন্য সারাবিশ্বের গবেষকরা দিন-রাত এক করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবুও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের তালিকাও। এই অবস্থায় করোনার ভয়াল থাবা থেকে বাদ পড়েনি বাংলাদেশও। সারাদেশে চলছে লকডাউন। করোনার বিস্তার ঠ্যাকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ প্রায় সকল কার্যক্রম। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে দেশের খেটে খাওয়া মানুষদের বিরাট একটি অংশ। 

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যলায়গুলোতে সাধারণত খেটে খাওয়া মানুষের ছেলেমেয়েরা বেশি পড়াশুনা করে। সেই হিসেবে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল, তাদের বিষয়টা উঠে আসছে বারবারই। দেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিজ খরচ চালায় টিউশন করিয়ে। যা বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে এই শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জেও চলছে একই সংকট। কিন্তু সংকটকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা। যেখানে, অন্যান্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যেই উক্ত সমস্যাগুলোর ভূয়সী সমাধান করেছে। এ বিষয়ে বারবার উঠে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বায়িত্বরত ছাত্র উপদেষ্টার নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টার দ্বায়িত্ব পালন করছেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মশিউর রহমান। চলতি সংকটের শুরু থেকে এখন অবধি কোনো সাড়া আসেনি তার দিক থেকে। শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোনো দিকনির্দেশনা।

কিছুদিন আগে গুঞ্জণ ওঠে তিনি নাকি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে কিনা সে সম্পর্কে কোনো বিবৃতি আসেনি। নতুন নিয়োগও নেই তার স্থলে। এমতাবস্থায়, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা খুবই আশাহত যে, তাদের এই সংকটকালে কোনো ভূমিকা রাখছেন না ছাত্র উপদেষ্টা। তাদের মতে, এভাবে একজন দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত মানুষ তার দ্বায় এড়াতে পারেন না। অসহায় শিক্ষার্থীদের সহায়তা পাওয়ার জন্যেও ছাত্র উপদেষ্টার অগ্রণী ভূমিকা দরকার বলে মনে করছে শিক্ষার্থী মহল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী এ বিষয়ে বলেন, এখন অবধি ছাত্র উপদেষ্টার কোনো ভূমিকা/নির্দেশনা আমাদের চোখে পড়েনি। আমি মনে করি, এই সময়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখা উচিৎ ছিলো ছাত্র উপদেষ্টার। কোন শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক সহায়তা জরুরি অথবা অন্যান্য কোনো সহায়তা জরুরি এবিষয়ে সার্বিক নজরদারি থাকা উচিৎ ছিলো। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রশাসনের সাথে সার্বিক যোগাযোগ ও তার রাখা উচিৎ ছিলো শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসাবে। তার এমন দ্বায় এড়ানো কর্মাকান্ডে আমরা হতাশ।

এবিষয়ে জানতে বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র উপদেষ্টা কাজী মশিউর রহমানকে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।