বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকার কম হলে কর দিতে হবে না

বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকার কম  হলে কর দিতে হবে না

ছবি:সংগৃহীত

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা চলতি অর্থবছরের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। নতুন বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। বার্ষিক আয় ৩ লাখ টাকা হলে কর দিতে হবে না। চলতি বছরে যা আছে আড়াই লাখ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া৩টা থেকে জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বাজেটে বক্তৃতায় বলা হয়েছে, ব্যক্তির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকার। এর পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ। এর পরের ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর দিতে হবে ১০ শতাংশ। পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর ১৫ শতাংশ। পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর কর ২০ শতাংশ। এর বেশি আয়ের ক্ষেত্রে মোট আয়ের ওপর কর ২৫ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে সাধারণ করদাতাদের ক্ষেত্রে আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকার পর প্রথম ৪ লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য ১৫ শতাংশ, এর পরের ৬ লাখ টাকার জন্য ২০ শতাংশ, আর পরবর্তী ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট মোট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়।

মহামারী করোনাভাইরাস সংকটময় পরিস্থিতি এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তায় রেখে এবারের বাজেটের শিরোনাম ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকাল সোয়া ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট বক্তব্য শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন- জিডিপিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য রেকর্ড জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির এই হার এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে বিশেষ এক বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর আগামী অর্থবছরের এই বাজেটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাক্ষর করেন।