মেস ভাড়া নিয়ে বিপাকে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

মেস ভাড়া নিয়ে বিপাকে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

ফাইল ফটো

শেখ ফাহিম 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি 

মহামারী করোনা ভাইরাসের মধ্যে মেস/ বাসা ভাড়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি)শিক্ষার্থীরা।করোনাকালীন ২৫ শতাংশ ভাড়া মওকুফ করার সিদ্ধান্ত থাকলেও মানছে বাসা মালিকরা।ফলে গণহারে মেস ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে "প্রতিবাদ করুন বাসা ছাড়ুন" নামে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন তারা।

গত ১২ জুন নবীনবাগের সুফিয়া মসজিদে বাড়িওয়ালাদের সাথে মেস/বাসা ভাড়া মওকুফ সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত কমিটির আলোচনা হয়।আলোচনায় এপ্রিল থেকে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ২৫ শতাংশ ভাড়া মওকুফ এবং বিদ্যুতের মিটার চার্জ শিক্ষার্থীদের দিতে হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়।তবে করোনার দুর্দিনে মেসে না থেকেও মাত্র ২৫ শতাংশ ভাড়া মওকুফের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ছিল না শিক্ষার্থীরা।

বশেমুরবিপ্রবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বাপ্পী জানান, নবীনবাগে মেস ভাড়া নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে আমরা হতাশ ও মর্মাহত হয়েছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের। ফলে করোনার এই দুঃসময়ে অনেক শিক্ষার্থীর পক্ষে ৭৫ শতাংশ ভাড়া দেওয়া অনেক কষ্টকর।

আই আর বিভাগের মাস্টার্সের রিয়াজুল ইসলাম বলেন, গত বৃহষ্পতিবার সকালে আমি গ্রামের বাড়ি নড়াইল থেকে মেসে আসি। মেসে ঢুকতেই বাসা মালিক ভাড়া পরিশোধ করতে চাপ দেয়। আমি ২৫% ভাড়া কম দিতে চাইলে বাসা মালিক সম্পূর্ণ ভাড়া পরিশোধ করতে বলে। বাসা ছেড়ে দিতে চাইলে তারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করে।

অভিযুক্ত বাড়িওয়ালার ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন- রিয়াজুল ইসলামসহ ৫ জন আমাদের বাসার নিচ তলায় থাকত।রিয়াজকে চুক্তি সাপেক্ষে বাসা ভাড়া দিয়েছি। বাসা ছাড়ার ১ মাস আগে বলার কথা থাকলেও তা মানছে না। ফলে তার থেকে মার্চ-জুনের সম্পূর্ণ ভাড়া নিয়েছি।

উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জের নবিনবাগে বিভিন্ন বাসায় চুরির ঘটনা ঘটলে আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছেন।