কক্সবাজারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মারধর

কক্সবাজারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে মারধর

ছবি : সংবাদাতা

 পৈতৃক জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কক্সবাজারে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও তাঁর পরিবার। আহত শিক্ষার্থী আইন বিভাগের ১৩ ব্যাচের মো. আবদুল্লাহ। সোমবার (২১জুন) রাত ৯টায় কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফতেকারকুঁল ইউনিয়নের পশ্চিম মেরোংলায়া এলাকায় এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আবদুল্লাহ, আবদুল্লাহর বাবাসহ পরিবারের চার পাচজন সদস্য আহত হয়।

 মারধরে শিকার হওয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ জানান, পৈতৃকসম্পত্তি ৯ বছর অাগে দাদার মৃত্যুর পর আমার চাচাত ভাই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও বিএনপি নেতা নুরুল আবছার আব্বাসহ তিন ভাইকে উত্তরাধিকারসূত্রে জায়গাজমির প্রাপ্য অংশ ভাগ-বণ্টন করে দেয়। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও গোসলের নোংরা পানি ভিটেবাড়ির মধ্যদিয়ে পাইপলাইন দিয়ে আমাদের সুপারী বাগানে ফেলার দাবী জানায় নুরুল আবছার ও তাঁর সহযোগীরা।

ময়লা পানি সুপারি বাগানে ফেলালে ঘরবাড়ির ক্ষতিসহ বাগান ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় আব্বা তাদের এই অন্যায় দাবী প্রত্যাখ্যান করে। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় আমার আব্বা ও পুরো পরিবারকে হত্যা ও জোরপূর্বক জমি দখল করে নেয়ার হুমকি ধমকি দেয় তাঁরা। গতকাল রাত ৯টার দিকে নুরুল আবছারের বাড়িতে বর্তমান ইউপি মেম্বার রুকন উদ্দীনের প্রতিনিধিত্বে সালিশ ডাকা হয়।

 সেখানে বাবা সেই প্রস্তাব না মানায় তাঁরা উত্তেজিত হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সামনে আব্বা-আম্মা, আমি, আমার বড় ভাই ও বোনের উপর ইট-লাঠি ও খুন্তি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে তাদের পূর্ব-পরিকল্পিত হত্যার হুমকি বাস্তবায়নের চেষ্টা চালায়। মুজিবের সহযোগী সেলিমসহ আরো অনেক ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে এসে এবং নুরুল আবছার, রেজাউল করিম ও চাচা নরুল ইসলামসহ আমাদের উপর এলোপাতাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত করে। এলাকাবাসী এগিয়ে না আসলে আমরা প্রাণে বাঁচতাম না।

আবদুল্লাহ আরও জানান, মামলা করতে চাচ্ছি তার জন্য প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে তাঁরা। আইন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রোকসানা আক্তার বলেন, 'আইনগতভাবে যেভাবে সহায়তা করা প্রয়োজন আমরা তা করবো।' বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী কামাল উদ্দিন বলেন,করোনার মহামারীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ছাত্রকে বেআইনীভাবে মারধর করা অন্যায়। আইনের মধ্য দিয়ে যতদুর করা যায় সেই ব্যবস্থা নিবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, 'ভিক্টিম মামলা করলে আমরা মামলা অনুযায়ি ব্যবস্থা নিবো।'