‘’ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বাতিল চাইলেন বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষক’’

‘’ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বাতিল চাইলেন বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষক’’

ছবি : সংবাদাতা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বাতিল চাইলেন গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবির এক শিক্ষক।খোজ নিয়ে জানা গেছে আরিফুজ্জামান রাজীব নামের এই শিক্ষক বশেমুরবিপ্রবির ইলেকট্রনিকস এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক তার দেশের বাড়ী মাদারীপুর জেলায়। 

 বর্তমানে শিক্ষা ছুটিতে জাপানের সাইতামা ইউনিভার্সিটি পিএইচডি গবেষণারত, তিনি তার ফেসবুক স্টাটাসের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বাতিল চান একই সাথে এই আইনে গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি চান। কিন্তু তিনি যাদের মুক্তি চান তাদের নাম স্পষ্ট করেননি তার লেখনিতে। এমন এক সময়ে তিনি এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বাতিল চাইলেন যখন করোনাকালীন সময়ে কয়েকজন দেশ বরেন্য মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় নেতাকে নিয়ে রাজনৈতিক সমালোচনার নামে অনেকেই ফেসবুকে কটুক্তি এবং ব্যঙ্গ করে স্টাটাস দেওয়ায় তারা ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন এবং কয়েকজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এই আইনে গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি কেন ও কোন উদ্দেশ্যে হটাৎ এই আইনের বাতিল চাইলেন সেটা বোধগম্য নয়। একই সাথে কাদের মুক্তি চাইলেন সে বিষয়টিও তিনি স্পষ্ট করেননি তার ফেসবুক পোস্টে। এ ব্যাপারে জানার জন্য তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়ে উঠেনি।

উল্লেখ্য যে, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তে, বাংলাদেশের সংসদে কণ্ঠভোটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ পাস হয়। এ আইনটি প্রস্তাবের পর গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।পরবর্তীতে এই আপত্তিগুলোকে আমলে নিয়ে তৎকালীন আইনমন্ত্রী তা সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সংসদে কন্ঠভোটে পাস করা এ আইনে কার্যত কোনো পরিবর্তনই আসে নি। দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন এই আইনের বিরোধিতা শুধুমাত্র ব্যক্তিস্বার্থেই করা হচ্ছে।  তিনি জানান, এই আইনের ফলে সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ হবে না। ২০ সেপ্টেম্বর বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই-বাছাই প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এই বিলটি পাসের জন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন বলে সংসদে বলেন। তার মতে পৃথিবীর বহু দেশ এই আইনটি অনুসরণ করবে।