কোমর ব্যথায় ফিজিওথেরাপি

কোমর ব্যথায় ফিজিওথেরাপি

নার্ভে চাপ বাড়তে থাকলে কোমরে তীব্র ব্যথার সাথে ধীরে ধীরে পায়ের আঙুল পর্যন্ত ব্যথা হতে পারে।

কোমর ব্যথার মেকানিক্যাল কারণগুলোর মধ্যে প্রলাপসড লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক বা পিএলআইডি অন্যতম। আমাদের পিঠ বা কোমর অনেক ছোট ছোট হাড় নিয়ে গঠিত, যাকে আমরা কশেরুকা বা ভার্ট্রিব্রা বলি। এই ভার্টিব্রাগুলোর মাঝখানে এক ধরনের কার্টিলেজ থাকে, যাকে ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক বলা হয়।

অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন আঘাতজনিত কারণে, ক্ষয় বৃদ্ধিজনিত কারণে অথবা সঠিক নিয়মে দৈনন্দিন কাজ না করার কারণে লাম্বার ভার্টিব্রার মাঝখানের ডিস্কগুলো বের হয়ে এলে নার্ভে চাপের সৃষ্টি হয়। তখন এই নার্ভগুলো পায়ের মাংসপেশির যেসব অংশে অনুভূতি বহন করে, সেখানেও ব্যথা শুরু হয়।

নার্ভে চাপ বাড়তে থাকলে কোমরে তীব্র ব্যথার সাথে ধীরে ধীরে পায়ের আঙুল পর্যন্ত ব্যথা, ঝিঁ ঝিঁ করা, অবশ হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে এই ব্যথা কোমরে না থেকে সরাসরি পায়ে চলে যায়।

মাঝে মাঝে দেখা যায় অনেক রোগীর কোমর বাঁকা হয়ে যেকোনো একদিকে সরে গেছে। যে পাশের নার্ভে চাপ পরে তার অপর পাশে খানিকটা বাঁকা হয়ে হাঁটলে রোগী একটু কম ব্যথা অনুভব করে। দীর্ঘদিন এভাবে হাঁটতে হাঁটতে একসময় রোগীর দেহ অপর পাশে ডেভিয়েশন বা বাকা হয়ে যায়। দেহের যে পাশে ডেভিয়েশন হয়, সে পাশের কাঁধ উঁচু হয়ে যায় এবং শিফটের কারণে অপর পাশের কাঁধ নিচু হয়ে যায়।

এ ধরনের সমস্যায় সবার আগে রোগীর কোমর বাঁকা বা ল্যাটারাল শিফটকে কারেকশন করতে হবে। এর জন্য ফিজিওথেরাপির বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ম্যানুয়াল ল্যাটারাল শিফট কারেকশন টেকনিক, ম্যানুয়াল শিফট কারেকশন উইথ ওয়াল সাপোর্ট, ব্যানানা শেপ লায়িং ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

শিফট কারেকশনের সাথে সাথে লাম্বার এক্সটেনশন ইন লায়িং এক্সারসাইজ চলতে থাকে। প্রয়োজনবোধে একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীর লাম্বার ভার্টিব্রার মোবিলাইজেশন করে থাকেন। এ ছাড়াও আমরা বিভিন্ন ধরনের কনসেপ্ট ম্যাকেঞ্জি, মলিগ্যান, সিরিয়াক্স ইত্যাদি ব্যবহার করেও চিকিৎসা করে থাকি।