ইবিতে আন্তঃবিভাগ ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও বাস্কেটবল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

ইবিতে আন্তঃবিভাগ ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও বাস্কেটবল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

নিজস্ব প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী (ড. রাশিদ আসকারী) বলেছেন, আলোচনা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বছরব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ২০২০ “মুজিববর্ষ” উদ্যাপন করা হবে। তিনি বলেন, এ উপলক্ষ্যে আমাদের আয়োজন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের আয়োজনে ফুটবল ও বাস্কেট বলের ভেন্যু হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। ড. রাশিদ আসকারী বলেন, আজ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একটি অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ হিসেবে নানা ভাবে নিজেকে বিকশিত করে চলেছে। তিনি বলেন, আমাদের গবেষণা, লেখাপড়া, খেলাধুলা এবং সংস্কৃতি চর্চায় যত সাফল্য আছে তার মধ্যে সেরা সাফল্য নিয়ে এনেছে আমাদের খেলোয়াড়রা। তাই খেলোয়াড়দের নিয়ে আমরা গর্বিত। ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এখন শুধু সাফল্যেরই গর্ব। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন প্রতিদিন, প্রতিমাসে, প্রতিবছর নতুন নতুন চমক দেখাচ্ছে। সারা বিশ্বের বিস্ময় আমাদের সোনার বাংলাদেশ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে। তারই ধারাবাহিকতা অব্যহত রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। আসনু আমরা প্রান্তিক জনপদের এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এক অসামান্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। 
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ৬ মাসব্যাপী  আন্তঃবিভাগ ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও বাস্কেটবল প্রতিযোগিতা ২০১৮-১৯’র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. রাশিদ আসাকরী এসব কথা বলেন। 
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া কমিটির সভাপতি ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমানের  সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়াঙ্গন একটি বিশ্বের বিস্ময়। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সবর্চ্চো অর্জন হয়েছে ক্রীড়া বিভাগের মাধ্যমে। তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন অত্যন্ত ক্রীড়া প্রেমী মানুষ। তিনি সব সময় ক্রীড়ার প্রতি উৎসাহ দিয়ে থাকেন। তাই বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়ার উন্নয়নে চমৎকার আবহাওয়া বিরাজ করছে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা আমাদের একটি সুন্দর পরিবেশ দাও, আমরা তোমাদেরকে একটি সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিব। 
সভাপতির বক্তৃতায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, খেলাতে জয়-পরাজয় বড় কথা নয়। আমরা প্রতিটি দলের চমৎকার খেলা উপভোগ করেছি। প্রতিটি খেলোয়াড়ের ক্রীড়া নৈপূণ্য অত্যন্ত প্রসংশনীয়। তিনি বলেন, সার্বিক দিকদিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আজ আন্তর্জাতীকরণের পথে দাঁড়িয়ে গেছে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের পরিচিতি ছড়িয়ে পরেছে। তিনি বলেন, আমাদের খেলোয়াড়দের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন অর্জন আমাদের মাথা উচুঁ করেছে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন ক্রীড়া প্রেমী মানুষ ছিলেন। তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনী গ্রন্থ থেকে এ সম্পর্কে অনেক কিছু জানাযায়। তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও  পিতার মতোই ক্রীড়া প্রেমী। তাই খেলাধুলার প্রতি আমাদের আরও আগ্রহী হতে হবে। 
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক মাবিলা রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহেল।
আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ আন্তঃবিভাগ ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস ও বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ প্রতিযোগিতায় ব্যাডমিন্টন (ছাত্রী) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং রানার-আপ হয়েছে মার্কেটিং বিভাগ। ব্যাডমিন্টন (ছাত্র) যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ ও ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। টেবিল টেনিস (ছাত্রী) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং রানার-আপ হয়েছে ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। টেবিল টেনিস (ছাত্র) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং রানার আপ হয়েছে আইন বিভাগ। এছাড়া বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ এবং রানার আপ হয়েছে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ।