বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত রেখে মুদ্রানীতি ঘোষণা

বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি অপরিবর্তিত রেখে মুদ্রানীতি ঘোষণা

বাংলাদেশ ব্যাংক

২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বেসরকারি খাতে ১৪.৮ শতাংশ এবং সরকারি খাতে ৪৪.৪ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যামাত্রা রেখে মুদ্রানীতি প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে মুদ্রানীতি প্রকাশ করা হয়। করোনার কারনে বরাবরের মত এবার সরাসরি মুদ্রানীতি ঘোষণার কোনো আয়োজন করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।

করোনা মহামারিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তৈরি করা এ মুদ্রানীতিকে সম্প্রসারণমূলক ও সংকুলানমুখী নীতি হিসেবে বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত বছরের মুদ্রানীতিতে সরকারিখাতে ২৪.৩ আর বেসরকারি খাতে ১৪.৮ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়। যদিও বেসরকারিতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৮.৬ শতাংশ আর সরকারিতে ৪৪ শতাংশের মত।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংক রেপো সুদহার ৫.২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪.৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। রিভার্স রেপোর সুদহারও কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া, ব্যাংক রেট ১৭ বছর ধরে চলা ৫ শতাংশের পরিবর্তে কমিয়ে করা হয়েছে ৪ শতাংশ। এতে ৯ শতাংশে শিল্পঋণের সুদহার যৌক্তিক হবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
 
এছাড়া, করোনা মহামারিতে বৈদেশিক লেনদেন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করে মুদ্রানীতিতে নিট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধি গত বছরের ১০.২ শতাংশ থেকে কমিয়ে এবার ৫.৮ শতাংশ ধরা হয়েছে। এছাড়া, অনানুষ্ঠানিকখাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক মানুষের কাছে মোবাইল, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা জোরদার করার আশা ব্যক্ত করেন গভর্নর।

মুদ্রানীতি বাস্তবায়নে কিছু ঝুঁকিও চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে কোভিড-১৯'র দীর্ঘসূত্রিতা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। করোনায় সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত প্রণোদনা, নীতি, ঋণ, বিনিয়োগ, উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে যথাযথ নিয়মে বাস্তবায়িত না হলে মন্দ ঋণ বৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে।  বৈশ্বিক করোনা মহামারি দীর্ঘদিন চলমান থাকলে রপ্তানি ও প্রবাস আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে। বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতিকেও আমলে নেয়া হয়েছে এবারের মূদ্রানীতিতে।