লঙ্কান মন্ত্রিসভায় রাজাপাকসা পরিবারের ৪ জন

লঙ্কান মন্ত্রিসভায় রাজাপাকসা পরিবারের ৪ জন

ছবি: শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসা

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসা বুধবার নতুন মন্ত্রিসভায় তার আরো দুই স্বজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এর ফলে ক্ষমতায় তার পরিবারের নিয়ন্ত্রণ আরো সংহত হলো।

শ্রীলঙ্কার ২৬ জন মন্ত্রীর মধ্যে রাজাপাকসা পরিবারের সদস্য হচ্ছেন চার জন। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসা তার হাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রেখেছেন। আর তার বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপাকসার হাতে রয়েছে অর্থ, নগর উন্নয়ন ও বৌদ্ধ ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সবার বড় ভাই চমল রাজাপাকসা সেচ মন্ত্রণালয় পেয়েছেন। আর মহিন্দার ছেলে নমল রাজাপাকসা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হয়েছেন।

গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট হন গোতাবায়া রাজাপাকসা (৭১)। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপাকসাকে (৭৪) প্রধানমন্ত্রী করেন।
মহিন্দা রাজাপাকসার প্রেসিডেন্ট আমলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন গোতাবায়া রাজাপাকসা। এ সময় সরকারি বাহিনী তামিল বিদ্রোহীদের পরাজিত করেছিল।

শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক পার্লামেন্ট নির্বাচনে রাজাপাকসাদের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা পদুজনা পেরামুনা (এসএলপিপি) পার্টি ২২৫টির মধ্যে ১৪৫টি আসনে জয়ী হয়।
দলটি মোট বৈধ ভোটের প্রায় ৬০ ভাগ বা ৬.৮৫ মিলিয়নের বেশি ভোট লাভ করে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সমাজি জন বালাবেগয়া (এসজেবি) পার্টি। তারা পেয়েছে ৫৪টি আসন।
চার সদস্য
পরিবারতন্ত্র জোরদার হওয়ার প্রেক্ষাপটে মন্ত্রিসভায় ভাইদের এক সন্তানও স্থান পেয়েছেন। তিনি হলেন চমল রাজাপাকসার ছেলে শাহেন্দ্র রাজাপাকসা। তিনি কৃষি উপমন্ত্রীর দায়িত্বে পেয়েছেন। তবে তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য হবেন না।

প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসা তার আইনজীব আলী সাবরিকে বিচারমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেছেন।
মন্ত্রীদের শপথ গ্রহণ হয় পবিত্রতম বৌদ্ধমন্দির কলম্বো থেকে ৭১ মাইল দূরের ক্যান্ডির টেম্পল অব দি টুথে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহলি বৌদ্ধবাদী লোকজনের প্রতি রাজাপাকসা পরিবারের আবেদন জোরদার করতেই এই মন্দিরকে বেছে নেয়া হয়।

গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট গোতাবায় শপথ গ্রহণ করেছিলেন কিংবদন্তিতুল্য এক সিংহলি রাজার নির্মিত প্যাগোডায়। তিনি সংখ্যালঘু তামিল সম্প্রদায়কে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন।
আর রোববার মহিন্দা রাজাপাকসা কেলানিয়া মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। শ্রীলঙ্কার লোকজন বিশ্বাস করে যে স্বয়ং বৌদ্ধ এই স্থানে এসেছিলেন।

সূত্র : আল জাজিরা