ভাংগুড়ায় রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণের চেষ্টা

ভাংগুড়ায় রাস্তা  দখল করে দোকান নির্মাণের চেষ্টা

ছবি : সংবাদাতা

পাবনার ভাংগুড়ায় রাস্তা কেটে দোকান নির্মাণ করার অভিযোগ ওঠেছে দু’ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এলাকার প্রভাবশালী ওই দু’ব্যক্তি হলেন-একজন সহকারি শিক্ষা অফিসার ও একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। দু’জনের নামই আয়নুল হক। একজন হলেন আয়নুল হক। তিনি পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলায় সহকারি শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত। অপরজন হলেন আয়নুল হক পাটুল। তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক।

তারা ভাংগুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের পাটুল গ্রামের ভাংগুড়া-নওগাঁ সড়কের পাটুল বাজারে প্রশস্ত রাস্তা কেটে দোকান তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কারো কথা তোয়াক্কা না করে  দোকান তৈরির কাজ অব্যাহত রাখেন। তাই এলাকার সাধারণ মানুষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান মেইন রাস্তার এজিংএর পাশ দিয়ে প্রায় ৩০ ফুট পর্যন্ত ৪ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে ইটের গাঁথুনি করা হয়েছে। চলন বিলাঞ্চলের বিলপাড়ের মানুষদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ মকবুল হোসেন এর অনুরোধে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ১শ’ ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। রাস্তাটি নির্মাণের ফলে তাড়াশ উপজেলা ও খানমরিচ ইউনিয়নবাসীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

রাস্তা দখলকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আয়নুল হক বলেন,“জায়গা ফাঁকা ছিল তাই ঘর নির্মাণ করতে চেয়েছিলাম।”

অপরজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও পাটুল বাজার কমিটির সভাপতি বলেন,“ ঘর নির্মাণের কাজ উপজেলা চেয়ারম্যান বাধা দেওয়ার পর এখন বন্ধ করা হয়েছে।”

এব্যাপারে ইউএনও সৈয়দ আশরাফুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন,“সরেজমিন পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গস্খহণ করা হবে।”

এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান বাকী বিল্লাহ বলেন,“জনগণের চলাচলের রাস্তা কাউকে দখল করতে দেওয়া হবে না। রাস্তা দখল করে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ করে করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আর কোন ব্যক্তি এ ধরণের কাজ করতে সাহস পাবে না।”