পাবনার ইটভাটা এখন বিনোদন পার্কে পরিণত

পাবনার ইটভাটা এখন বিনোদন পার্কে পরিণত

ছবি : সংবাদাতা

পাবনা জেলা থেকে মাত্র পাঁচ-ছয় কিলোমিটার দূরে পুরো পাবনা জেলার প্রথম বিনোদন পার্কটি সম্প্রতি যাত্রা শুরু করেছে।পাবনা সদর উপজেলার বলোরামপুরে দু’টি ইট ভাটায় প্রায় ১০০ বিঘা ছড়িয়ে পড়া জমিতে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এই পার্কটি। অঞ্চলটিতে দূষণের কারণ হিসেবে ব্যবহৃত জমির বিশাল অংশটি এখন সবুজ ছিটমহলে পরিণত হয়েছে। নয়নাভিরাম সবুজ ঘাসে আবৃত এবং শত শত নতুন রোপিত চারা দ্বারা আবদ্ধ পার্কটি।

পাবনা শহরের পাশাপাশি আশেপাশের অঞ্চল থেকে প্রচুর দর্শনার্থীরা তাদের ছোট্ট ছেলে-মেয়েদের এই মনোমুগ্ধকর পার্কে রোদে মজাদার দিনে, বিশেষত সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পার্কে নিয়ে আসছেন। বিভিন্ন পাখি এবং প্রাণীর জীবন আকারের ভাস্কর্যগুলো-ল্যান্ডস্কেপ পার্কের চারপাশে রাখা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা জিরাফ-ছোটদের আকর্ষণ যোগ করেছে।

এই বিশাল জায়গাজুড়ে যেখানে একটি ইটভাটা ছিল; সেখানে গড়ে তোলা পার্কটিতে একটি মানবসৃষ্ট হ্রদের চারপাশে স্থাপন করা দশটি বিভিন্ন যান্ত্রিক রাইড সরবরাহ করা হয়েছে। পার্কে ফেরিস হুইল, মেরি-গো-রাউন্ড, ড্রাগন পেন্ডুলাম, মিনিয়েটার ট্রেন, ওয়াটার রাইড এবং প্যাডেল বোট রাইড এখন কয়েটি প্রধান আকর্ষণ।

দ্বিতীয় ভাটাটি ভেঙে ফেলার পরে আরও রাইডস ও একটি ওয়াটার পার্ক স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ‘রানা ইকো পার্ক ও পিকনিক স্পটে’র মালিক রুহুল আমিন বিশ্বাস রানা।

মঙ্গলবার পরিদর্শনকালে পার্কে আসা আট বছর বয়সী আফ্রিনা তার মা-বাবার সাথে পার্কে এসেছিল।  সে কোন যাত্রায় সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছে জানতে চাইলে সে বলল সমস্ত রাইড পছন্দ করেছে; তবে আনন্দময়-গোল রাউন্ডটি তার পছন্দ হয়েছে সব চেয়ে বেশি। স্কুল শিক্ষিকা মুসলিমা খাতুন জানান, তিনি হ্রদে প্যাডেল বোট যাত্রা পছন্দ করেছেন সবুজ ল্যান্ডস্কেপের চারদিকে।

এই প্রতিনিধির সাথে কথা বলার সময় পার্কের মালিক রানা বলেন, তিনি সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার বোধ থেকে নিজের ইটভাটাগুলো সরিয়ে নেওয়ার  সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এই প্রতিবেদককে আরও বলেন, পাবনা জেলায় পার্ক তথা শিশুদের বিনোদন স্থান না থাকায় তিনি ইটভাটাগুলো ভেঙে সেখানে পার্কটি তৈরি করতে শুরু করেছেন।