সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি রাষ্ট্রপক্ষের

ফাইল ছবি

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় যুক্তি উপস্থাপনকালে আদালতের কাছে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রত্যাশা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে সাহেদের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। এদিন সাহেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় রোববার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, 'সন্দেহাতীতভাবে মামলাটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি।  এ মামলার আসামি সাহেদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন চাই।' তিনি বলেন, 'আগামী রবিবার এ মামলার আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হবে। আশা করছি, চলতি মাসেই এ মামলার রায় হবে।'

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বলেন, 'রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি প্রমাণ করতে পারেনি। যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে অবশ্যই আমরা ন্যায়বিচার পাব। আসামি সাহেদ এ মামলায় খালাস পাবেন।' 

 বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন সাহেদ। এসময় আদালত তাকে সাফাই সাক্ষী দিবেন কি-না প্রশ্ন করলে সাহেদ সাফাই সাক্ষী দিবেন না বলে জানান। এর পর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিউপস্থাপনের জন্য এদিন ধার্য করেন।

আত্মপক্ষ সমর্থনে সাহেদ বলেন, আমার কাছে থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি। মামলায় ১৪ জনের মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

করোনায় নানা প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় পরদিন সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর পর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযানে গিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক এস এম গাফফারুল আলম তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করে।

৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল।

২৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।