খালেদা জিয়ার ৪ মামলার স্থগিতাদেশ আপিলেও বহাল

খালেদা জিয়ার ৪ মামলার স্থগিতাদেশ আপিলেও বহাল

ফাইল ফটো

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে করা আরো চার মামলার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। মামলাগুলো সচল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হাইকোর্টের রুল শুনানি করতে বলা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির। আর খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন  বলেন, আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে করা চারটি মামলায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন। তিনি বলেন, আমরা আদালতে বলেছি ঘটনার সময় বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। তাকে এসব মামলার হুকুমের আসামি করা হয়েছে। অথচ তিনি নেতাকর্মীদের নাশকতা পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে বলেছেন। তার বিরুদ্ধে এসব মামলা চলতে পারে না। হাইকোর্ট যথার্থভাবে এসব মামলার কার্যক্রমে ওপর স্থগিত আদেশ দিয়েছেন যা বহাল থাকায় উচিত।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে করা চারটি মামলায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন। এ চারটি মামলা হল; রাজধানীর দারুস সালাম থানায় নাশকতার অভিযোগে তিনটি এবং কুমিল্লায় করা নাশকতার অপর একটি মামলা। তিনি বলেন, কুমিল্লায় করা নাশকতার মামলায় স্থগিতাদেশ বহাল রাখার পাশাপাশি জামিনও বহাল রেখেছেন আদালত।

তিনি আরো বলেন, এ চার মামলাসহ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলোর মধ্যে মোট ১২ মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রাখলেন আপিল বিভাগ।

এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে গাড়ি ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগের অভিযোগে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে নাশকতার মামলাগুলো দায়ের করা হয়। রাজধানীর দারুস সালাম থানায় নাশকতার অভিযোগে তিনটি এবং কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে করা অপর একটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলা স্থগিত চেয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হলে তা মঞ্জুর করা হয়। একইসঙ্গে মামলার স্থগিতের বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।