করোনাকালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ৭টি বিকল্প প্রস্তাব

করোনাকালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ৭টি বিকল্প প্রস্তাব

ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম

করোনাকালে পরীক্ষা নেওয়া এখন একটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িঁয়েছে। সে হিসাবে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে ১৫ দিন পর পরীক্ষা নেওয়ার কথা রয়েছে। আবার কিছু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ দল বলছেন এ মহামারী আদৌ যাবে কি- না এ নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সংশয়।

আন্তঃ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যনবৃন্দ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এ লক্ষে মিলিত হবেন। নিঃসন্দেহে এ সংবাদ হাজারো শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের জন্য আশার আলো। আবার এই এইচ,এস,সি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে মেডিকেল, বুয়েট, ইঞ্জিনিয়ারিং সহ নানা বিষয় নিয়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়বে, তাই এই পরীক্ষা ও মূল্যায়ণ যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। অনেকে সিলেবাস কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলছেন, সেক্ষেত্রে সমস্যা হলো আবার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, পরিশোধন, বিতরন ও গোপনীয়তার ।

 তাই এখন দরকার অল্প দিনে পরীক্ষা শেষ করা, অল্প দিনে ফলাফল ও  অল্প সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি। উপরোক্ত ৩টি বিষয় বিবেচনা করলে সকাল বিকাল পরীক্ষা গ্রহন ছাড়া বিকল্প নেই। সে হিসেবে আমি নিম্নোক্ত প্রস্তাবগুলো পেশ করছি।

(প্রস্তাব-০১)

১ম দিন- ইংরেজি এই দিন ৩০% শিক্ষার্থী শুধু ১ বিষয়ে দিয়ে থাকে। আবার কিছু শিক্ষার্থীর পরীক্ষা একটু কঠিন হলে রাগে, ক্ষোভে আর পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে না। তাই ইংরেজি পরীক্ষা আগে নিলে প্রথম দিনের পর এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী কমে যাবে।

২য় দিন- আই সি টি+ ১ বিষয়ের ব্যবহারিক। এ দিনেও পুরাতন শিক্ষার্থী থাকে। তাহলে ২ দিন পর দেখা যাবে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী কমে যাবে।

৩য় দিন- বাংলা ৪র্থ দিন- পদার্থ/ হিসাব/ (পৌরণীতি/......). ৫ম দিন- রসায়ন/ ব্যবসা/( সমাজ/......) ৬ষ্ট দিন- জীব/ ফিন্যন্স/ (ইস. ইতি/ যুক্তি/.. ) ৭ম দিন- মানবিকের কেউ কোন বিষয় বাদ পড়লে যেমন ৬ষ্ঠ দিনে ইস. ইতি পরীক্ষা দিতে গিয়ে যুক্তিবিদ্যা বাদ পড়েছে, সেক্ষেত্রে তার যুক্তিবিদ্যা পরীক্ষা আলাদা সেটে নেওয়া যেতে পারে । 

* বিজ্ঞান ও বাকী শিক্ষার্থীদের ২ টি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা।

[ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট ৬টি শাখা রয়েছে। শুধুমাত্র মানবিকে নৈর্বাচনিক বিষয় রয়েছে ৬টি, ভবিষতে গুচ্ছভিত্তিক ৩ টি বিষয়ে আনা যেতে পারে। বাকী ৫টি শাখার জন্য নির্ধারিত ৩টি নৈর্বাচনিক বিষয় রয়েছে। ] 

(প্রস্তাব -২) 

একসাথে ১ম ও ২য় পত্রের সৃজনশীল প্রশ্নপত্র আগে দিয়ে শিক্ষার্থীর পছন্দমত এক পত্রে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে । 

(প্রস্তাব -৩) 

১ম পত্রে ৫০% প্রশ্নোত্তর ও ২য় পত্রে ৫০% প্রশ্নোত্তরের ব্যবস্থা করা যেতে পারে । 

(প্রস্তাব -৪) 

নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে লটারী করে অর্ধেক শিক্ষার্থী সকালে ও বাকী শিক্ষার্থী বিকালে আলাদা সেটে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে । 

(প্রস্তাব -৫)

নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যিক বিষয়ের পরে মানবিকের শিক্ষার্থী সকালে ও বাকী শিক্ষার্থী বিকালে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে । এক্ষেত্রে আলাদা সেটের দরকার নেই।

(প্রস্তাব -৬)

৩০% এর মত শিক্ষার্থী পুরাতন। তারা "আদু ভাই" হতে চলেছে। শুধু এদেরকে প্রতি বেঞ্চে ১ জন করে নিরাপদ দূরুত্তে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। বাকীদের এভাবে ২ ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে।

(প্রস্তাব -৭)

রেড জোন চিহ্নিত জায়গার পরীক্ষা পরবতীতে নেওয়া যেতে পারে । 

 

ড. মোঃ শরিফুল ইসলাম : লেকচারার, আইসিটি, দুবাগ স্কুল এন্ড কলেজ বিয়ানীবাজার, সিলেট।