প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিবসে সমাজ ও সংস্কৃতি গবেষণা পরিষদের আলোচনা অনুষ্ঠান

প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিবসে সমাজ ও সংস্কৃতি গবেষণা পরিষদের আলোচনা অনুষ্ঠান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম দিবসে ভার্চুয়াল আলোচনা।

জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম দিবসে ‌'বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা' শিরোনামে অনলাইনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সমাজ ও সংস্কৃতি গবেষণা পরিষদ, পাবনা, বাংলাদেশ।  

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯ টায় উক্ত ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের উদ্বোধনসহ স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পাবনা জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন। যিনি আজকের অনুষ্ঠান উদ্বোধনসহ স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
 
সভাপতিত্ব করেন সমাজ ও সংস্কৃতি গবেষণা পরিষদের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নির্বাহী সদস্য প্রফেসর ড. এম. এ. আওয়াল। অনলাইনে অতিথি আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সৈয়দ মোঃ নুরুল বাসির এবং উপ-সচিব ও বিশিষ্ট প্রতœতত্ত্ববিদ প্রতœতত্ত¦ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেটের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আতাউর রহমান।

আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরের অনুপ্রাস জাতীয় কবি সংগঠনের সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পাবনা সদর উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাঈদা শবনম। অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত সাবলীল ও মনমুগ্ধখর পবিশে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন আয়োজক গবেষণা পরিষদের সভাপতি এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের গবেষক ও সহকারী রেজিস্ট্রার এস. এম. জহুরুল ইসলাম প্রিন্স।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন তার স্বাগত বক্তব্যে একাত্তর থেকে বর্তমান পর্যন্ত বীর বাঙালীর ইতিহাস উল্লেখপূর্বক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রীর অগ্রযাত্রা বিষয়গুলো আলোকপাত করেন। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে সমাজ ও সংস্কৃতি গবেষণা পরিষদ তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করায় পরিষদের অগ্রযাত্রা কামনা করেন। এ পরিষদকে এ ধরণের সৃষ্টিশীল অনুষ্ঠান আরও আয়োজন করার আহ্বান জ্ঞাপন করেন।

অতিথি বক্তা সাঈদা শবনম ও নজরুল ইসলাম তাদের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকসমূহ উপস্থাপন করেন।

অতিথি আলোচক ড. আতাউর রহমান বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রাচুর্যতা উল্লেখ পূর্বক বাংলাদেশের  উন্নয়নে  প্রধানমন্ত্রীর সৃজনশীল উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি তার আলোচনায় ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে স¤্রাট আকবরের ন্যায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার অভাবনীয় পদক্ষেপের ক্ষেত্রে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বদানকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে- হাসিনা দ্যা গ্রেট বলে আখ্যায়িত করেন।

যুগ্ম সচিব  সৈয়দ মোঃ নুরুল বাসির সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার বিভিন্ন উজ্জ্বল দিকগুলো উপস্থাপন করেন। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে জনগনের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বাংলাদেশের উন্নয়নের মাইল ফলক অর্জনে বঙ্গবন্ধু কন্যার সৃজনশীলতা উপস্থাপন করেন।
সভাপতি প্রফেসর ড. এম. এ. আওয়াল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ও দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতা উপস্থাপন করেন। বিশেষ করে মহামারির দূর্যোগময় সময়ে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর তড়িৎ পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিকসমূহ গবেষণার ক্ষেত্রে সমাজ ও সংস্কৃতি গবেষণা পরিষদের উদ্যোগ গ্রহণে সাধুবাদ জ্ঞাপন করেন। 

গত বছরে এ পরিষদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম দিবসে চিত্রাংক প্রতিযোগিতার আয়োজনসহ নানা কার্যক্রম গ্রহণের সৃজনশীল পদক্ষেপগুলোর ক্ষেত্রে পরিষদের কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন। ভবিষ্যতে এ পরিষদ যাতে আরও সুদৃঢ় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পাওে সেই কামনা করে ঐতিহাসিক মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।