ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলার অন্যতম লক্ষ্য হতে পারে ইরানের পারমাণবিক চুল্লি ও পারমাণবিক গবেষণাকেন্দ্রগুলো,
ইরান
ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে, এমন ধারণাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা।
অতিসম্প্রতি ইসরায়েলে যে ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের সেনাবাহিনী, সেই হামলা ছিল ‘সংক্ষিপ্ত’ এবং এতে শুধু সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল।
মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির জন্য হুমকি হিসেবে একে অপরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছে ইরান ও ইসরায়েল। পাশাপাশি দুটি দেশই একে অপরকে ‘চিরশত্রু’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অভিযানের বিষয়ে ইরান তুরস্ককে আগেই জানিয়েছিল। আঙ্কারার মাধ্যমে ওয়াশিংটন তেহরানকে নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল। দামেস্কের কনস্যুলেটের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের মাটিতে এ হামলা চালানো হয়।
বাংলাদেশ ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসন এবং গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার রাতে ইরান থেকে ধেয়ে আসা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরাইলের ৫ বিলিয়ন শেকেল (১.৩৫ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় হয়েছে বলে রোববার ইসরাইলি মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের সরাসরি হামলার প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, এই হামলা চালানোর পূর্ণ অধিকার ছিল ইরানের।
ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়ে ইরান বলেছে, দেশটি যদি ইরানের হামলার কোনো জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে পরবর্তী সময়ে আরও বড় পদক্ষেপ নেবে তারা।