ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড

০১ নভেম্বর, ২০২৫

শেষ ওয়ানডেতে ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে দুই দল। সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ডের জন্য ম্যাচটি ছিল কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিকতার। আর ইংল্যান্ডের সামনে ছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানো।

তবে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় সান্ত্বনার জয়টুকুও পায়নি ইংলিশরা। তৃতীয় ওয়ানডেতে ২ উইকেটে জিতে প্রতিপক্ষকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশও করেছে কিউরা। 

এর আগে ১৯৮৪ সালে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে একবারই হোয়াইটওয়াশ করেছিল নিউজিল্যান্ড। এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ধস নামে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপে।

মাত্র ১১ ওভারের মধ্যেই ৪৪ রানে পাঁচ উইকেট হারায় তারা। পরে অধিনায়ক জস বাটলার (৩৮) ও ব্রাইডন কার্স (৩৬) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ৪১তম ওভারে ২২২ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।

জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের সূচনা ছিল দুর্দান্ত। দীর্ঘ আট মাস পর ওয়ানডে দলে ফেরা ডেভন কনওয়ে (৩৪) ও রচিন রবীন্দ্র (৪৬) মিলে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৭৮ রান। তবে দুজন দ্রুত আউট হয়ে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।

বিনা উইকেটে ৭৮ রান থেকে একসময় ১৪৭ রানেই ৫ উইকেট হারায় কিউইরা। তবে দলের প্রয়োজনে আবারও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ড্যারিল মিচেল।  এদিন ৬৮ বলে ৪৪ রান আসে মিচেলের ব্যাট থেকে। আর অধিনায়ক স্যান্টার করেন ২৭ রান। 

তবে ম্যাচের শেষ দিকে কিউইরা দ্রুত তিন উইকেট হারালে ম্যাচে খানিক নাটকীয়তা আসে। ২৭ রান দরকার থাকতে নিউজিল্যান্ডের হাতে ছিল মাত্র দুই উইকেট।

তবে জাক ফোকস (১৪*) ও ব্লেয়ার টিকনার (১৮*) ঠাণ্ডা মাথায় ৩২ বল হাতে রেখে দলকে জয় এনে দেন। ইংল্যান্ডের হয়ে ওভারটন ও স্যাম কারান দুটি করে উইকেট নেন। ৬৪ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেয়ায় ম্যাচ সেরা হন টিকনার। আর সিরিজ সেরা হন ড্যারিল মিচেল।