কুকসুর খসড়া গঠনতন্ত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক
ফাইল ছবি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (কুকসু) এর গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৯টি এবং হল সংসদে ৯টি পদে নির্বাচন হবে। এছাড়া, প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আটাশ (২৮) বছর। পাশাপাশি, ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ খসড়া গঠনতন্ত্র প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত খসড়া অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংসদে মোট পদ রয়েছে ২১টি এবং এর মধ্যে সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ পদ ছাড়া বাকি ১৯টি পদে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনি পদগুলো হলো– সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র-বিষয়ক সম্পাদক, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-বিষয়ক সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ-বিষয়ক সম্পাদক, আইন ও মানবাধিকার-বিষয়ক সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, পরিবহণ সম্পাদক, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক, ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক (ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত), পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক এবং চারজন নির্বাহী সদস্য।
সংরক্ষিত দুটি পদের মধ্যে পদাধিকার বলে সভাপতি হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ হবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ।
এছাড়া, হল সংসদে মোট পদ রয়েছে ১১টি। পদগুলো হলো– সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক, পাঠাগার সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং দুইজন কার্যনির্বাহী সদস্য।
এর মধ্যে নয়টি পদে নির্বাচন হবে এবং বাকি দুইটি পদের মধ্যে হলের প্রাধ্যক্ষ পদাধিকার বলে সভাপতি হবেন এবং আবাসিক শিক্ষক বা হাউজ টিউটদের থেকে একজন কোষাধ্যক্ষ হবেন।
কেন্দ্রীয় এবং হল সংসদে প্রার্থিতার যোগ্যতা হিসেবে শিক্ষার্থীকে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত হতে হবে। তবে এক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বা ততোধিক স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসাবে গণ্য হবে না। শিক্ষার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ২৮ বৎসর রাখা হয়েছে। প্রার্থীতা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট করা বাধ্যতামূলক।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সান্ধ্যকালীন কোর্স যেমন, এমবিএ, ইএমবিএ, এমএড, অথবা কোনো পেশাদার বা নির্বাহী বা বিশেষ মাস্টার্স কোর্স, অথবা এমফিল ও পিএইচডি বা সমমানের কোর্সসমূহ, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সসমূহ, ভাষা কোর্সসহ, এ ধরনের অন্যান্য কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের সদস্য হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
বাংলাদেশে বলবৎ কোনো আইন অনুসারে নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠনের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বা শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কোনো কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরাও সদস্য হওয়ার অযোগ্য হবেন।
এ বিষয়ে কুকসু গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে এই খসড়া প্রকাশ করেছি এবং আগামী পাঁচদিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই গঠনতন্ত্র নিয়ে তাদের মতামত জানাতে পারবে। পাঁচদিন পরে শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে কোনো সংযোজন-বিয়োজন করা লাগলে করা হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হবে।”
উল্লেখ্য, আগামী পাঁচ কার্যদিবস পর্যন্ত নিম্নোক্ত এই (coucsu@cou.ac.bd) ইমেইলে ঠিকানায় গঠনতন্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা যেকোনো মতামত জানাতে পারবেন।