একাই লড়ে গেলেন মাহমুদুল্লাহ

একাই লড়ে গেলেন মাহমুদুল্লাহ

শেষ পর্যন্ত মাহমুদুল্লাহ ৭৬ রানে অপরাজিত থাকেন- ছবি: ক্রিকবাজ

শেষ পর্যন্ত ১৬৪ রানের হার বাংলাদেশের। প্রথমে উইকেট যাওয়া আসার মিছিল শুরু হলেও পরবর্তীতে মাহমুদুল্লাহ একাই লড়ে যান একপাশ থেকে। শেষ পর্যন্ত তিনি ৭৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ফলে তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইট ওয়াশ হলো।

৪২ ওভার ৪ বলে ১৫৪ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা।

শুক্রবার ওয়েলিংটনে ৩১৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫০ রানের আগেই চার উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে রয়েছে টাইগাররা। এরপরই আসা যাওয়ার মিছিল। ৯৭ রানে ৭ উইকেট নেই টাইগারদের।

ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ রানের মাথায় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ম্যাট হেনরির করা দ্বিতীয় ওভারে রক্ষণাত্মক শট খেলতে গিয়ে কিউই উইকেটরক্ষক টম ল্যাথামের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন তামিম। হেনরির পরবর্তী ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন সৌম্য সরকারও। তামিম ও সৌম্য দুজনের ব্যাট থেকেই এসেছে মাত্র ১টি করে রান। উইকেটের অন্য প্রান্তে লিটন দাস পাল্টা আক্রমণ করতে গেলেও হেনরির বলে থার্ডম্যান অঞ্চলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন তিনিও। তার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২১ রান। ম্যাচের ১৮তম ওভারের শেষ বলে ৪৮ রানের মাথায় মোহাম্মদ মিথুন কাইল জেমিসনের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। এর আগে তিনি সংগ্রহ করেন ৩৯ বলে ৬ রান।
মুশফিক এবং মাহমুদুল্লা প্রতিরোধ গড়তে চেষ্টা করলেও তাতেও ব্যার্থ হন তারা।  মুশফিকুর রহিম তার ব্যাক্তিগত ২১ রানে নিশামের হাতে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফিরে যান ড্রেসিং রুমে। পরের ইউকেটে দুই মেহেদী খেলেছেন ১০ বল। তার মধ্যে ২ বলে শুন্য রান করে নিশানের শিকার হন বড় মেহেদী। পরবর্তীতে ছোট মেহেদী ৮ বলে তিন রানে লাথামের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। তিনি নিশামের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন।

২৪ বলে ৯ রান করে ম্যাট হ্যানরির বলে ক্যাচ তুলে দেন তাসকিন। পরবর্তীতে রুবেল হোসেন ২৮ বল সঙ্গ দেন মাহমুদুল্লাহর সাথে। তিনি সাজঘরে ফিরে ৪ রান করে। শেষে মুস্তাফিজ ৩ বল খেলে শুন্য রানে ফিরে যান।

অপরদিকে একাই মাহমুদুল্লা খেলে যান এক পাশ থেকে। শেষ পর্যন্ত তিনি ৭৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

জেমস নিশাম ৭ ওভার ৪ বল করে ৫ উইকেট তুলে নেন। অপর দিকে ১০ ওভার বল করে ৪ উইকেট তুলে নেন ম্যাট হ্যানরি। অপর উইকেটটি নেন কেইলি জেমিসন।

এর আগে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে নেমে ডেভন কনওয়ে ও ডেরিল মিচেলের অভিষেক সেঞ্চুরিতে ভর করে টাইগারদের সামনে ৩১৯ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দেয় কিউইরা।