চ্যাম্পিয়ন লিগের সেমিফাইনালে রিয়াল, ম্যান সিটি

চ্যাম্পিয়ন লিগের সেমিফাইনালে রিয়াল, ম্যান সিটি

চ্যাম্পিয়ন লিগের সেমিফাইনালে রিয়াল, ম্যান সিটি- সংগৃহীত ছবি

চ্যাম্পিয়ন লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল। প্রতিপক্ষ বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু অ্যানফিল্ডে রূপকথার জন্ম দিতে পারলো না লিভারপুল। পুরো ম্যাচে রিয়ালের জালই খুঁজে পেল না সালাহরা। ম্যাচ হলো গোলশূন্য ড্র। প্রথম লেগে ৩-১ গোলের জয়ের সুবাদে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমির টিকিট নিশ্চিত করেছে রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। এদিকে ডন্টমুর্টকে হারিয়ে প্রথমবারের মত সেমিতে জায়গা করে নিল ম্যান সিটি।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগে ঘটে বিব্রতকর এক ঘটনা। অ্যানফিল্ডে আসার পথে লিভারপুল সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়ে রিয়ালের টিম বাস। কিছু একটা ছুড়ে ভেঙে দেওয়া হয় বাসের কাঁচ। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় ইংলিশ ক্লাবটি।

সেমিতে যেতে হলে লিভারপুলের দরকার ছিল ন্যুনতম ২-০ গোলে জয়। সেই কাজটি ঘরের মাঠে করতে পারেনি তারা। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত লিভারপুল। সাদিও মানের কাছ থেকে বিপজ্জনক জায়গায় বল পান মোহামেদ সালাহ। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ১১ মিনিটে আবার সুযোগ আসে স্বাগতিকদের সামনে। এবার জেমস মিলনারের ক্রসবার ঘেঁষে আসা শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ব্যর্থ করে দেন রিয়াল গোলরক্ষক।

লিভারপুলের আক্রমণের ঝাপটা সামলে ধীরে ধীরে নিজেদের গুছিয়ে নেয় রিয়াল। ম্যাচের গতি কমিয়ে রাখার দিকেই ছিল তাদের মনোযোগ। ২০ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল দলটি। করিম বেনজেমার শট তুরস্কের ডিফেন্ডার ওজান কাবাকের পা ছুঁয়ে দিক পাল্টে পোস্টে লেগে ফেরে।

ম্যাচের বাকি সময়টাতেও চিত্র ছিল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি কোন দল। ১৫ শটের মধ্যে লিভারপুল লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল ৪টি। সেখানে রিয়ালের ছয়টির মধ্যে লক্ষ্যে চিল মাত্র দুটি শট। ২০১৫-১৬ মৌসুমের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে এই প্রথম গোল করতে ব্যর্থ হলো রিয়াল।

অন্য ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টুমন্ডকে আবারও হারিয়ে পেপ গার্দিওলার কোচিংয়ে প্রথমবারের মতো সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। দুই লেগেই ইংলিশ ক্লাবটি জেতে ২-১ ব্যবধানে। ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষে ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। অন্য সেমিতে রিয়াল মাদ্রিদ খেলবে চেলসির বিরুদ্ধে।