বাইডেনের আমন্ত্রনে হোয়াইট হাউসে জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের

বাইডেনের আমন্ত্রনে হোয়াইট হাউসে জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের

হোয়াইট হাউসে জর্জ ফ্লয়েডের পরিবার-

‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না!’ বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের বুকে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের অন্তিম শব্দগুলির অনুরণন চিরকাল থাকবে। ২৫ মে, ২০২০ শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারের হাঁটুর চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড। মঙ্গলবার তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বৈষম্যের ক্ষত সারিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর হল ‘সাদা বাড়ি’। সেই উদ্দেশ্যে এদিন ফ্লয়েডের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।

সাক্ষাতের পর জর্জের ভাই ফিলোনিস ফ্লয়েড বলেন, “আমাদের বৈঠক খুব ভাল হয়েছে। তিনি (বাইডেন) খুবই সৎ ব্যক্তি। তিনি হৃদয় থেকে কথা বলেন। যা হচ্ছে তার জন্য আমরা সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা শুধু চাই জর্জ ফ্লয়েড পুলিসিং অ্যাক্ট যেন শীঘ্রই আইনে পরিণত হয়। আমরা যদি ঈগল পাখি রক্ষায় আইন প্রণয়ণ করতে পারি, তাহলে কৃষ্ণাঙ্গদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও আইন আনতে পারি।” এদিকে, হোয়াইট হাউসে বাইডেনের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠে জর্জ ফ্লয়েডের (George Floyd) সাত বছরের মেয়ে জিয়ানা। প্রসঙ্গত, ফ্লয়েড হত্যায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় জেলে পোরা হয়েছে পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিনকে। কিন্তু আমেরিকার বিভিন্ন শহরের রাস্তায় কৃষ্ণাঙ্গ নিগ্রহের ঘটনা সেইঅর্থে বিশেষ কমেনি। এই ধরনের বর্ণবিদ্বেষ রুখতে আরও কড়া আইনের দাবি তুলে আজ পথে নেমেছেন ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনকারীরা। পরনে ফ্লয়েডের ছবি দেওয়া টি-শার্ট, হাতে পোস্টার, আর মুখে একটাই কথা- “কিছুই তো পালটালো না।”

বলে রাখা ভাল, ‘জর্জ ফ্লয়েড জাস্টিস ইন পলিসিং অ্যাক্ট’ নামের এই বিল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে পাশ হয়ে গেলেও নানা আইনি জটিলতা নিয়ে টালবাহানা চলছে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সেনেটে। কবে তা আইনে পরিণত হবে, এখনও অস্পষ্ট। এই আইন পাশ হলে পুলিশকর্মীদের দুর্ব্যবহারের ঘটনার একটি জাতীয় পঞ্জি তৈরি করা হবে। তাছাড়া, বর্ণ ও ধর্মের ভিত্তিতে কোনও অভিযুক্তের বিচার করতে পারবেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীরা। পাশাপাশি, এই বিল পাশ হলে অত্যধিক বলপ্রয়োগের মতো ঘটনায় পুলিশকর্মীদের আইনি বর্মও অনেকটাই শিথিল হতে পারে। -সংবাদ প্রতিদিন