পাবনায় মাদক ও চাঁদাবাজিতেই বহু সম্পদের মালিক শাহীন!

পাবনায় মাদক ও চাঁদাবাজিতেই বহু সম্পদের মালিক শাহীন!

ছবি: প্রতিনিধি

পাবনা প্রতিনিধি:পাবনায় মাদক ও চাঁদাবাজিতেই এখন বহু সম্পদের মালিক শাহীন! শাহীনের নাম শুনলেই এলাকার মানুষের গা শিউরে ওঠে। তার বিরুদ্ধে কথা বললেই বিপদের শেষ নেই।  তার ভয়ে এলাকাও ছেড়েছেন বহু মানুষ।

এক ডজন সাঙ্গ পাঙ্গের সমন্বয়ে গঠিত শাহীন মাদক ব্যবসা আর চাঁদাবাজি করে গত অর্ধযুগে (৬/৭ বছরে) প্রচুর অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছেন পাবনার আতাইকুলা থানার মোহাম্মদ শাহীন।

পাবনার আতাইকুলা থানার ভুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা শাহীন। তার মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ে  হৈচৈ শুরু হয়েছে। পত্র পত্রিকা, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে তার মাদক ও চাঁদাবাজির কাহিনী। এই ঘটনায় একই এলাকার ফখরুল ইসলাম নামের এক  মেধাবী কলেজ ছাত্রকে দায়ী করে তার ওপর অমানবিকভাবে হামলা চালায় শাহীন ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা।

হামলার শিকার কলেজ ছাত্র ফখরুল ইসলাম বলেন, তার মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ে সংবাদে আমি সহায়তা করেছি এটা ভেবে আমার উপর হামলা করেছে। শাহীনের নেতৃত্বে ১০/১২ সন্ত্রাসী রড-হাতুড়ি দিয়ে হত্যার জন্য আমাকে আক্রমন করে।

পরে শাহীনসহ ১২ জনকে আসামী করে পাবনার আতাইকুলা থানায় মামলা দায়ের করেন ওই কলেজছাত্রের পিতা মো: আজহারুল ইসলাম। অভিযুক্ত মাদকব্যবসায়ী শাহীনসহ অন্যান্যদের শাস্তির দাবিতে এলাকায় মানবন্ধন এবং বিক্ষোভও করে এলাকাবাসি। মামলা প্রত্যাহারের জন্য আমাদের এখনো হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমার জীবনটাই তারা নষ্ট করে দিয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, গত সাত বছরে মাদকব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে বিত্তশালী হয়েছেন শাহীন। তার অত্যাচারে এলাকাও ছেড়েছেন অনেকে।

শাহীনের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে এরই মধ্যে অভিযোগ করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকে।

এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল আহমেদ বলেন, গত কয়েক বছর আগেও তার তেমন কোন জমি-জামাও ছিল না, থাকার মত কোনরকম একটি ঘর ছিল। সে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। এলাকার অনেকের কাছ থেকে সে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার এসব টাকার উৎস হচ্ছে মাদক ব্যবসা এবং মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করা। প্রভাবশালীদের সাথে ছবি তুলে পরে বিভিন্ন জায়গায় তা ব্যবহার করে নানা সুবিধা নেয়ার আভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

জেলা পুলিশ বলছে, শাহীনসহ তার সাঙ্গ পাঙ্গদের আটক করার চেষ্টা চলছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম(অপরাধ বিভাগ) বলেন, শাহীন গংরা এখন এলাকা ছাড়া। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। তাদের যেখানেই পাওয়া যাবে সেখান থেকেই আমরা আটক করবো। এব্যাপারে এলাকাবাসীর সহযোগিতাও চেয়েছেন পুলিশ।