মানুষের মাঝে ফেরেশতা এবং শয়তানের স্পর্শ রয়েছে

মানুষের মাঝে ফেরেশতা এবং শয়তানের স্পর্শ রয়েছে

মানুষের মাঝে ফেরেশতা এবং শয়তানের স্পর্শ রয়েছে-

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ لِلشَّيْطَانِ لَمَّةً بِابْنِ آدَمَ وَلِلْمَلَكِ لَمَّةً فَأَمَّا لَمَّةُ الشَّيْطَانِ فَإِيعَادٌ بِالشَّرِّ وَتَكْذِيبٌ بِالْحَقِّ وَأَمَّا لَمَّةُ الْمَلَكِ فَإِيعَادٌ بِالْخَيْرِ وَتَصْدِيقٌ بِالْحَقِّ فَمَنْ وَجَدَ ذٰلِكَ فَلْيَعْلَمْ أَنَّهُ مِنْ اللهِ فَلْيَحْمَدْ اللهَ وَمَنْ وَجَدَ الْأُخْرَى فَلْيَتَعَوَّذْ بِاللهِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ ثُمَّ قَرَأَ الشَّيْطَانُ يَعِدُكُمْ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَاءِ الْآيَةَ

আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদম-সন্তানের মাঝে শয়তানের স্পর্শ আছে এবং ফেরেশতারও স্পর্শ আছে। শয়তানের স্পর্শ হল, মন্দের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ও সত্যকে মিথ্যাজ্ঞান করা। আর ফেরেশতার স্পর্শ হল, ভালোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া ও সত্যকে সত্যজ্ঞান করা। সুতরাং যে ব্যক্তি ফেরেশতার স্পর্শ অনুভব করবে, সে যেন বোঝে যে, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং সে যেন তাঁর প্রশংসা করে। আর যে ব্যক্তি অন্যটির স্পর্শ অনুভব করবে, সে যেন আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে। অতঃপর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াত পাঠ করলেন, শয়তান তোমাদেরকে দারিদ্রের ভয় দেখায় এবং জঘন্য কাজে উৎসাহ দেয়, পক্ষান্তরে আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। আল্লাহ বিপুল দাতা, সর্বজ্ঞ। (বাক্বারাহঃ ২৬৮)

(তিরমিযী ২৯৮৮, নাসাঈর কুবরা ১১০৫১, ইবনে হিব্বান ৯৯৭ প্রমুখ, সহীহ মাওয়ারিদুয যামআন ৩৮)