নওগাঁর একাংশে সর্বাত্মক 'লকডাউন', খুলনায় 'কঠোর বিধিনিষেধ'

নওগাঁর একাংশে সর্বাত্মক 'লকডাউন', খুলনায় 'কঠোর বিধিনিষেধ'

নওগাঁর একাংশে সর্বাত্মক 'লকডাউন', খুলনায় 'কঠোর বিধিনিষেধ'

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় সাতদিনের সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল, তাও আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।

এছাড়া খুলনা মহানগরীর তিনটি থানায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে স্থানীয় প্রশাসনের ভাষায় 'কঠোর বিধিনিষেধ' আরোপ করা হয়েছে।জেলায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে সেখানকার কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নওগাঁর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এ বি এম আবু হানিফ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, আমাদের জেলায় কয়েকটি এলাকায় সংক্রমণের হার বেশ উদ্বেগজনক বলে দেখতে পেয়েছি। এই কারণে জেলার নওগাঁ পৌরসভা ও নিয়ামতপুর উপজেলায় 'সর্বাত্মক লকডাউন' জারি করা হয়েছে। বাকি অংশেও সরকারি বিধিনিষেধ কড়াকড়িভাবে পালন করতে হবে।

তিনি জানান, সর্বাত্মক বিধিনিষেধ থাকার সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না। সেখানে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। হাটবাজার, দোকানপাট, সকল প্রকার অফিস বন্ধ থাকবে।সাতদিন পর পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।বুধবার পর্যন্ত নওগাঁ জেলায় ২ হাজার ৩০১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ জাহিদ নজরুল চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সংক্রমণ বিবেচনায় জেলার সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে।এই জেলায় বুধবার পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২০৩৩ জন।সংক্রমণের হার ৫৫ শতাংশ হয়ে যাওয়ায় গত ২৪শে মে এই জেলায় সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বিবিসিকে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় মহানগরীর তিনটি থানা এলাকায় আগামী সাতদিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এসব এলাকায় দোকানপাট বন্ধ থাকবে, চলাচলেও কড়াকড়ি থাকবে।এসব থানার মধ্য আছে খুলনা সদর, খালিশপুর থানা এবং সোনাডাঙ্গা থানা।

মঙ্গলবার রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির একটি বিজ্ঞপ্তিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে যাতে উচ্চ সংক্রমিত এলাকায় অঞ্চল ভিত্তিক সম্পূর্ণ লকডাউন দেয়া হয়।

সেখানে জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা ছাড়া সবাইকে বাড়িতে থাকার আদেশ দিতে হবে। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ করা থেকে শুরু করে কঠোর নজরদারি, টহলের পরিমাণ বাড়ানো এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ক্ষমতা দেয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।সেই সভার আলোচনায় উঠে এসেছে যে, সীমান্তবর্তী জেলা, বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, রাজশাহী, নওগাঁ, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা ও বাগেরহাটে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির সবচেয়ে অবনতি ঘটেছে। সেখানে সংক্রমণের উচ্চহার দেখা গেছে।

সূত্র : বিবিসি