পৃথিবীর বৈরী আবহাওয়া থেকে বের হতে চাই

পৃথিবীর বৈরী আবহাওয়া থেকে বের হতে চাই

জাহিদ হাসান (নয়ন)-

জাহিদ হাসান (নয়ন)-

মানুষ স্বভাবতই স্বাভাবিকভাবে চলা-ফেরা করতে ভালোবাসে। এটিই প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু হঠাৎ পৃথিবী আমাদের সাথে বৈরীতা আরম্ভ করেছে। আমরা জানি, এটাতে মানবজাতীর কোন হাত নেই। হয়তো মহান স্রষ্টা আমাদের উপর ক্রুদ্ধ হয়েছেন। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর  থেকে কেনো জানি মানুষের মনে শান্তির রেখাটুকু উঠে গেছে। আর আমরা স্বাভাবিকভাবে চলতে-ফিরতে পারছি না। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা পরিবেশের সহিত নিজেদেরকে খাপ খাওয়াতে পারছি না।

আমরা হয়ে গেছি গৃহবন্দী। শুধু গৃহবন্দী হয়নি, আমাদের মনকেউ বন্দী করে রেখেছি। মন চাই মুক্তাকাশে পাখির মতো ডানা মেলে দিয়ে উড়ে বেড়াই। মন চাই উন্মুক্ত পুস্করিনীতে আনন্দের সাথে গোসল করি। মন চাই এ গ্রাম থেকে ও গ্রামে বন্ধুর বাড়ি যেয়ে গল্প করে, আনন্দ করে ঘরে ফিরি এবং মায়ের হাতের রান্না মজা করে পরিবারের সকলেই একসাথে বসে মজা করে খায়। কিন্তু এ বৈরী পৃথিবী সেটা করতে দিচ্ছে না। আমরা প্রতিনিয়ত মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছি। এই যুদ্ধ করেই এখনো পর্যন্ত অনেকেই টিকে আছে আবার অনেকেই এ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে পরপারে চলে গেছে। 

আমরা চাই পৃথিবী তার পূর্বের অবস্থানে চলে আসুক। আমরা চাই সকলের মুখে হাসির ফোয়ারা ফুটুক। ক্রমশঃ দেখছি মানুষের হৃদয়পটে যে আনন্দ  বহমান ছিল তা লোপ পাচ্ছে।

মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব-রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদ। এ ঈদে মুসলমানরা কত আনন্দ করতো। এক আত্মীয় আরেক আত্মীয়ের বাড়িতে যেত । বন্ধু-বান্ধবরা ঈদের নামাজ শেষে একে ওপরের সাথে কোলাকোলির মধ্য দিয়ে কুশল বিনিময় করতো। কিন্তু এ গুলো করতে গেলেই একটা জিনিস মাথায় আসে আর তা হলো- –‘করোনা’। করোনার জন্য সবাই ভীত-সন্ত্রস্ত। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পারছিনা বন্ধু, পাড়া-প্রতিবেশি, আত্মীয় স্বজনদের সাথে করমর্দন করতে। আমরা চাই এ পৃথিবী আমাদের প্রতি সহনশীল হোক, এবং আমরা যেন পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে পারি।