বড়োদের দেখেই অভ্যাসগুলো শেখে ছোটরা!

বড়োদের দেখেই অভ্যাসগুলো শেখে ছোটরা!

সন্তানের ভালো গুণ এবং খারাপ অভ্যেস দুটোর জন্যই কিন্তু তার অভিভাবকরাই দায়ী

আমার একটি কথা সকলে বলি যে “চ্যারিটি বিগিনস্ অ্যাট হোম”। তেমনি বাড়িতে আমরা নিজেরা কী করছি সেটা দেখে সন্তানরা আস্তে আস্তে বড় হয় এবং শিক্ষা লাভ করে।
 
তাই সন্তানের ভালো গুণ এবং খারাপ অভ্যাস দুটোর জন্যই কিন্তু তার অভিভাবকরাই দায়ী প্রাথমিকভাবে। বাবা-মায়ের গুণ সন্তান জন্মের আগে থেকেই লাভ করে। এরপর মানুষ হিসেবে তৈরী হওয়ার প্রক্রিয়াটিতে সবথেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করে সন্তানের বাবা-মা। তাই নিজের সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে তৈরী হতে দেখতে চাইলে আগে নিজের মধ্যে কিছু ভালো পরিবর্তন আনতে হবে আপনাকে।

১. আপনি যদি সারাদিন কাজ না করে শুধু বসে থাকেন তাহলে আপনার সন্তানও অলস হিসেবেই তৈরি হবে। তাই নিজেকে সক্রিয় রাখুন। এতে আপনাকে দেখে দেখে আপনার সন্তানও উদ্বুদ্ধ হবে এবং ছোট থেকেই তার মধ্যে নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে।

তাই বাচ্চাদের শুধুমাত্র হোম ওয়ার্ক করার প্রতি জোর না দিয়ে সবার আগে নিজেদের ডায়েট এবং স্বাস্থ্যরক্ষার বিষয়টি নজর দিতে হবে।

২. অনেক অভিভাবকেরই অভ্যাস আছে রাত জেগে কাজ করা অথবা টিভি দেখা কিংবা লেট নাইট পার্টি করা। এরপর সন্তান এমন কিছু করলে আপনি অভিযোগ জানাতে পারেন না। সুতরাং সন্তানকে সঠিক হিসেবে তৈরি করতে চাইলে আপনাকেও এই অভ্যাসগুলো বাদ দিতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে শেষ করুন এবং সময় বেঁচে থাকলে সেটি ভালো কাজে লাগান।

এছাড়াও প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন নিজের মধ্যে এবং সন্তানের মধ্যে।

৩. রাস্তায় বের হলেই খাই খাই করার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। সন্তানের টিফিনের জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার না দিয়ে কখনো ফল বা সামান্য কিছু খাবার দিতে পারেন। এটি শুধু তার জন্য নয়, নিজের এবং নিজের পরিবারের অন্য সদস্যদের ক্ষেত্রেও বিবেচনা করতে হবে আপনাকে। প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে সহজপাচ্য খাবার খান।

৪. আপনার পরিচিত এবং অপরিচিত যে কোন ব্যক্তির সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করার অভ্যাস আপনাকে রাখতে হবে। অযথা উত্তেজিত হয়ে তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার বা তাদেরকে কুকথা বলা যাবে না। এছাড়াও আপনি যেভাবে ব্যবহার করছেন সেটা যাতে আপনার সন্তান হোক নজর রাখে সে কারণে তার সামনেই আপনি এই আচরণগুলো অভ্যাস করুন। -কোলকাতা ২৪