প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথমবার বিদেশ সফরে বাইডেন

প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথমবার বিদেশ সফরে বাইডেন

ছবি : সংগৃহীত

জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে করছেন । জি-সেভেন সম্মেলনে যোগ দিতে বুধবার লন্ডনে পৌঁছান তিনি। আট দিনের এই সফরে ইউরোপীয় নেতাদের পাশাপাশি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাইডেন।

বুধবার স্থানীয় সময় বিকেলে সস্ত্রীক যুক্তরাজ্যে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রয়েল বিমানঘাঁটিতে তাকে স্বাগত জানান মার্কিন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম বিদেশ সফরে বের হলেন তিনি। পরে, মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাইডেন। সেখানে তাকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে থাকা মার্কিন সেনা সদস্যরা।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের সহযোগীদের সম্পর্ক বেশ শীতল হয়ে পড়েছিল। ওয়াশিংটনে পালাবদলের পর করোনা সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতির পর তিনি তাঁর প্রথম বিদেশ সফরে ইউরোপে যাচ্ছেন। ট্রাম্প আমলের সংঘাতের নীতির বদলে আবার সহযোগিতা ও সমন্বয়ের পথে ফিরে আসতে চান তিনি। আট দিনের ইউরোপ সফরে বাইডেন পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর জোটকে আরও মজবুত করতে চান। 
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে বাইডেনের। ৮ দিনের এ সফরে আগামী ১৬ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করবেন দুই নেতা। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তন, ইউক্রেনের মতো বিষয়গুলো আলোচনায় স্থান পাবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার আগ্রাসী নীতির মুখে এ ঐক্যের ওপর জোর দিচ্ছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আবার নির্ভরযোগ্য সহযোগী হিসেবে তুলে ধরে তিনি ইউরোপের নেতাদের আশ্বস্ত করতে চান। চার বছরের ‘বিচ্যুতি’ পেছনে ফেলে আমেরিকার প্রতি সহযোগীদের আস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর বাইডেন।