জিরাফের চেয়েও লম্বা! প্রাচীন যুগের অজানা প্রজাতির দৈত্যাকার গণ্ডারের সন্ধান দিলেন বিজ্ঞানীরা

জিরাফের চেয়েও লম্বা! প্রাচীন যুগের অজানা প্রজাতির দৈত্যাকার গণ্ডারের সন্ধান দিলেন বিজ্ঞানীরা

প্রাচীন যুগের অজানা প্রজাতির দৈত্যাকার গণ্ডারের সন্ধান দিলেন বিজ্ঞানীরা-

জিরাফের চেয়েও লম্বা গণ্ডার! দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দৈর্ঘ্য ২০ ফুট। ওজন ২০ টনেরও বেশি। আজকের পৃথিবীতে যে গণ্ডারদের আমরা চিনি তাদের থেকে একেবারেই আলাদা অতিকায় এই পশুরা। আজ থেকে আড়াই কোটি বছর আগের পৃথিবীতে ছিল তাদের রাজত্ব। মূলত মধ্য এশিয়া জুড়েই ছিল এই গণ্ডারদের অবাধ বিচরণ।

চীনের গানসু প্রদেশে মিলেছে এমনই এক গণ্ডারের প্রায় পূর্ণাবয়ব জীবাশ্ম। গত ১৭ জুন ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে জানা গিয়েছে এই গবেষণার কথা। প্রায় ২ কোটি ৬৫ লক্ষ বছর আগে এই গণ্ডারদের দেখা যেত। তারা তিব্বত থেকেই মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিল বলে জানা যাচ্ছে ওই গবেষণাপত্র থেকে।

এই অতিকায় গণ্ডারকে ধরা হচ্ছে পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসেবে। বিশেষ করে এদের করোটি ও পায়ের আকার চেনা গণ্ডারদের প্রজাতির থেকে তো বটেই এমনকী এযাবৎ সন্ধান মেলা সমস্ত স্তন্যপায়ীদের থেকেই বড়।

আধুনিক প্রজাতির ‘নিকট আত্মীয়’ এই গণ্ডারদের নাম দেওয়া হয়েছে প্যারাসেরাথেরিয়াম লিনজিয়ায়েন্স। এরা যে কেবল দীর্ঘই ছিল তা নয়। দেহের ওজন ছিল আফ্রিকার অতিকায় হাতিদের থেকেও বেশি! উদ্ধার হওয়া ফসিলস খুঁটিয়ে দেখে তার সম্পর্কে এমন অনেক তথ্যই জানতে পেরেছেন‌ বিজ্ঞানীরা। যা থেকে সহজেই অনুমান করা যায়, পৃথিবীর বুকে যখন এই দৈত্যাকার প্রাণীরা হেঁটে বেড়াত তখন কী ধরনের কম্পন তৈরি হত মাটিতে। তবে এদের নাক সাধারণত খড়্গের মতো ছিল না বলেই মনে করা হচ্ছে। বরং এদের নাক ছিল চ্যাপ্টা ধরনের ও সোজা। পিঠের দিকটাও ছিল চাপা ধরনের।

অতীতের পৃথিবীতে অতিকায় প্রাণী যে ছিল এটা নতুন কথা নয়। ডাইনোসরদের নানা প্রজাতিই এক সময় পৃথিবীর শাসক ছিল। কিন্তু গণ্ডারের এমন অতিকায় প্রজাতির কথা এতদিন জানা যায়নি। -সংবাদ প্রতিদিনি