পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওয়াসাকে বিএনপির স্মারকলিপি

পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওয়াসাকে বিএনপির স্মারকলিপি

পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওয়াসাকে বিএনপির স্মারকলিপি

রাজধানীতে পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ঢাকা মহানগর বিএনপি।মহানগর দক্ষিনের সভাপতি দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, উত্তরের সিনিয়র সহসভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু এই স্মারকলিপি সকালে কাওরান বাজারে ওয়াসা ভবনে গিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি পৌঁছে দেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, করোনা মহামারীকালে নাগরিকরা যখন তীব্র আর্থিক সংকটে নিপতিত ও কর্মহীন হয়ে পড়ছেন, আয়-রোজগার সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, নতুন করে বেকার ও দারিদ্রের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, তখন ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অমানবিক, অনাকাঙ্খিত, অযৌক্তিক, মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী ও গণবিরোধী-যা নগরবাসীর জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’। করোনা মহামারীর এই দুঃসময়ে পানির দাম বৃদ্ধি করা হলে জনজীবনে বিরাজমান নাভিশ্বাস আরও বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার ব্যয়ও বাড়বে।

এতে আরো বলা হয়, ঢাকা মহানগরবাসীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখা পানির দাম বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল এবং ঢাকা ওয়াসার দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধ করে সকল নগরবাসীর জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে নিরাপদ ও সুপেয় পানি সরবরাহের জোর দাবী জানাচ্ছে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিগত ১৩ বছরে ১৪ বার পানির দাম প্রায় তিন গুন বৃদ্ধি করা হয়েছে, কিন্তু তাতে নগরবাসীর ভোগান্তি কমে নাই, বরঞ্চ নাগরিক জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। ২০০৯ সালে আবাসিক ও সামাজিক হোল্ডিং খাতে প্রতি হাজার লিটার ৬ দশমিক ০৪ টাকা ও অফিস ভবনসহ শিল্প ও বানিজ্যিক সংস্থা খাতে ২০ দশমিক ১১ নির্ধারণ করে, ২০২০ সালে যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৪৬ টাকা ও ৪০ টাকা এবং সর্বশেষ ২০২১ এর মার্চে তা বৃদ্ধি করে যথাক্রমে ১৫ দশমিক ৮ টাকা ও ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে-যা আগামী ০১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

স্মারকলিপি প্রদানের সময়ে গত নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, কম খরচে নিরাপদ পানি পাওয়া নাগরিকদের অধিকার৷ এই অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।

হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, জাতিকে শিক্ষিত করে তোলা একজন শিক্ষককে সরকার বেতন দেয় মাত্র ২০ হাজার টাকা৷ অথচ পানির নামে বিষ খাওয়ানো ওয়াসার এমডিকে বেতন দেয় ৬ লাখ টাকা।এসময় মহানগর দক্ষিনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম নকি, যুব দলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।