কঠোর লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিন: বেড়েছে মানুষের চলাচল

কঠোর লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিন: বেড়েছে মানুষের চলাচল

কঠোর লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিন: বেড়েছে মানুষের চলাচল-

করোনাভাইরসে আক্রান্ত হয়ে দেশে সোমবার রেকর্ড ১৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিন যত যাচ্ছে মরণঘাতি এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিন চলছে আজ মঙ্গলবার। আগের দিনগুলোর তুলনায় আজ রাস্তায় বেশি মানুষের চলাচল দেখা যাচ্ছে। রাস্তায় চেকপোস্টের সংখ্যাও তুলনামূলক কম। তল্লাশি বা টহলের সংখ্যাও কমেছে।

গত ১ জুলাই সাত দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন চলমান থাকা অবস্থায় করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটলে গতকাল সোমবার নতুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সময়সীমা আরো সাত দিন বাড়িয়েছে সরকার।

লকডাউনের শুরু থেকেই বাস্তবায়নে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত গ্রেপ্তার ও জরিমানা করছেন। এ ছাড়া জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখানো ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তল্লাশির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে তারা তাদের গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন।

এদিকে সরজমিনে দেখা গেছে সন্ধ্যার পর লোকজনের চলাচল আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। কিন্ত এ সময়ই থাকে না চেকপোস্ট। বিশেষ করে রাজধানীর প্রধান সড়কের চেয়ে অলিতে গলিতে লোক সমাগম আগের মতই আছে। তাদের মধ্যে কোনো করোনার সচেতনা লক্ষ্য করা যায় না। 

এদিকে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও দোকান খোলা রাখতে চান দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি। সোমবার (৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো খোলা চিঠিতে কল্যাণ সমিতি বলেছে, স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে অল্প সময়ের জন্য হলেও দোকান খুলে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ প্রদান করে বাধিত করবেন।

লকডাউনের মধ্যে গতকালের মতো আজও খোলা রয়েছে ব্যাংক, বীমা এবং শেয়ারবাজার। তবে লেনদেন হচ্ছে সীমিত পরিসরে। ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। শেয়ারবাজার ১০টা থেকে ১টা এবং বীমা ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

এর আগে গত ৩০ জুন দেশজুড়ে সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে ২১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা অনুযায়ী সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) সব যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অ্যাম্বুল্যান্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজের জন্য শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে। গণমাধ্যম এই বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।